মাধ্যমিকে উপস্থিত ৭১ শতাংশ, প্রাথমিকে ৭৩
স্কুল-কলেজ খোলার দ্বিতীয় দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। এদিন সারাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৭০ শতাংশ ও প্রাথমিকে ৭৩ দশমিক ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল।
সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মাউশির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা থেকে জানা গেছে, সারাদেশে অনুমোদিত সরকারি-বেসরকারি ১৯ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সব স্কুল-কলেজ থেকে প্রতিদিনের শিক্ষার্থী-শিক্ষক উপস্থিতিসহ যাবতীয় তথ্য ছক আকারে দিতে বলা হলেও প্রথম দিন ১৪ হাজার ৮১৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাঠানো হয়।
তবে দ্বিতীয় দিন ১৮ হাজার ৪০৮টি স্কুল-কলেজ থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হয়েছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এসব তথ্য পাঠানো হয়েছে। এতে ঢাকা মহানগরের মধ্যে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশের বেশি আর জেলা পর্যায়ে এ হার ৭০ শতাংশ। গতকাল ঢাকায় উপস্থিতি ৮০ শতাংশ থাকলেও জেলা পর্যায়ে ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
মাউশির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা পরিচালক অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, সারাদেশে ১৯ হাজার অনুমোদিত স্কুল-কলেজ থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ১৮ হাজার ৪০৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে ঢাকা মহানগরীতে ৮০ শতাংশ আর জেলা পর্যায়ে ৭০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী দ্বিতীয় দিনে ক্লাসে উপস্থিত ছিল। এ সংখ্যা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সোমবার ৭৩ দশমিক ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত ছিল। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭০ দশমিক ২৭ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, খুলনায় ৮১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, সিলেটে ৬৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বরিশালে ৭৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, রাজশাহীতে ৭৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং রংপুর বিভাগে ৭৬ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
ডিপিইর মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, দেশের সব বিদ্যালয়ে নির্দেশনা মোতাবেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাসে পাঠদান শুরু হয়েছে। ক্লাসে আসতে পেরে শিক্ষার্থীরা অনেক খুশি। শিক্ষক-অভিভাবকরা দ্রুত আরো বেশি সংখ্যক ক্লাস শুরুর দাবি জানিয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলে এক সপ্তাহ পর শ্রেণি ও ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।