টোকিও অলিম্পিকের অর্থনৈতিক সুফল ৫ হাজার ৫৭৫ কোটি ডলার
টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের অর্থনৈতিক সুবিধা হবে প্রায় ৫ হাজার ৫৭৫ কোটি ডলার (৬ লাখ ১৪ হাজার কোটি ইয়েন)। যদিও এক্ষেত্রে জাপানি আয়োজকদের ২ হাজার কোটি ইয়েনেরও বেশি লোকসান হবে। কানসাই বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক কাটসুহিরো মিয়ামোতো এ পূর্বাভাস দিয়েছেন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক মিয়ামোতোর মতে, জাতীয় স্টেডিয়াম ও অ্যাথলেট ভিলেজসহ অবকাঠামো নির্মাণ ব্যয় থেকে প্রায় ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি ইয়েন এরই মধ্যে সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে।
বাকি অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো টোকিও অলিম্পিক চলাকালীন ব্যয় থেকে আসবে এবং আগামী মাসের শুরুতে বাকি ইতিবাচক প্রভাবগুলো দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের আয়োজক হওয়ার জন্য এবং গেমের সঙ্গে যুক্ত ব্যয়ের জন্য আয়োজকদের আয়ের বিষয়টির দিকেও নজর দিয়েছেন মিয়ামোতো।
তার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এক্ষেত্রে আয়োজকদের মোট ২ লাখ ৩৭ হাজার কোটি ইয়েন লোকসান হতে পারে। এর মধ্যে টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারের ১ লাখ ৪১ হাজার কোটি ইয়েন, কেন্দ্রীয় সরকারের ৮৭ হাজার ৪০০ কোটি ইয়েন এবং বাকি লোকসানগুলো আয়োজক কমিটির মাধ্যমে ব্যয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকাশিত পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে আমি এ হিসাব প্রস্তুত করেছি। এ হিসাবের মধ্যে কভিডজনিত বিরূপ প্রভাব অন্তর্ভুক্ত নয়। কভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে প্রায় সব ভেনুতেই গেমগুলো দর্শকছাড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া প্যারালিম্পিক আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। সাম্প্রতিক সংক্রমণের কারণে এক্ষেত্রেও ভেনুগুলোতে দর্শক প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ফলে এটি বৃহৎ একটি টেলিভিশন ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।