জাতীয়

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে স্বাভাবিক বিচার কার্য পরিচালনা করা হবে।

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, আদালত প্রাঙ্গণ অত্যন্ত জনাকীর্ণ। এখানে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণ কতটা মেনে চলবেন সেটা নিয়ে কর্তৃপক্ষ সন্দিহান। এছাড়া বেশ কয়েকজন বিচারক ও আইনজীবী করোনায় আক্রান্ত। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে আদালত খোলার পর করোনা আক্রান্ত হয়ে যদি কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তার দায় কে নেবে? ফলে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্বাভাবিক বিচার ব্যবস্থায় ফেরা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহসাই নয় বলে সূত্র জানায়। এদিকে করোনার উচ্চ সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন এলাকাকে তিনটি জোনে ভাগ করে লকডাউনের সরকারি সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই লক্ষ্যে যেসব আদালত ‘রেড জোন’ এলাকায় পড়বে সেখানকার ভার্চুয়াল কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ থাকবে বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে।

করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী জনগণ যাতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি ও হাইকোর্টের প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরন করে গত ১১ মে থেকে সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কাজ পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনার আলোকে ৩১ মে পর্যন্ত উচ্চ ও নিম্ম আদালতে বিচারকাজ চলছিলো। ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ১৫ জন পর্যন্ত ভার্চুয়াল কোর্টে বিচারকাজ পরিচালনার মেয়াদ বাড়ানো হয়। সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশে ভার্চুয়াল কোর্টের মেয়াদ অনিদ্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

এ সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে ও শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে আজ মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কোর্টে বিচারকাজ পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button