ছাতকে নৌ- পুলিশের মামলায় আওয়ামীলীগ নেতাদের হয়রানির অভিযোগ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সংবাদ সন্মেলন
আব্দুছ ছালাম শাকিল, জেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)
ছাতকে নৌ- পুলিশের মামলায় আওয়ামীলীগ নেতাদের হয়রানির অভিযোগ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সংবাদ সন্মেলন
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে চেলা নদী ও মরা চেলা নদী বালু মহালে শ্রমিক ও নৌ পুলিশের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নানা তথ্য বিভ্রাটসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ নিরীহদের আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
ছাতক পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষে শনিবার সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে ইমজার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাতক পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, নৌ পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে তারাই আবার অভিযোগটি তদন্ত করছে। এতে নিরপক্ষেতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাদি পক্ষকে দিয়ে মামলা তদন্ত না করে পিবিআই কিংবা অন্য কোনো নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে মামলা তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাতক পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক চান মিয়া চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও একটি চাঁদাবাজ চক্রের মদদে ছাতক পৌরসভায় একাধিকবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক তাপস চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী ও নিরীহদের আসামী করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দুরে সিংচাপইড় গ্রামের মিজান নামের এক যুবককে আসামী করা হয়েছে। পেশায় তিনি একজন গাড়ি চালক। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক কর্মীদেরও আসামী করা হয়েছে। যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৪ জুলাই চেলা নদী বালু মহালের সৈদাবাদ এলাকায় নৌকা শ্রমিক ও নৌ পুলিশের মধ্যে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে।ওই ঘটনা কে কেন্দ্র করে ছাতক নৌ পুলিশ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনকে আসামী করে ছাতক থানায় মামলা (নং-৩(৭)২১) দায়ের করে। মামলায় ঘটনাস্থল সৈদাবাদের পরিবর্তে নিয়ামতপুর উল্লেখ করা হয়েছে।
রাত ৮টায় ঘটনা ঘটলেও সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট মামলায় বলা হয়েছে। ছাতকের সুরমা নদীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজির বিষয়টি সর্বজন বিধিত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, চাঁদাবাজির সাথে ছাতক নৌ পুলিশের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এখানে চাঁদবাজির বিরুদ্ধে নৌ পুলিশ নির্বিকার। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর তাপস চৌধুরীসহ তার সমর্থক, এলাকার রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন।
ওই ঘটনা ও মামলার পেছনে গত পৌরসভা নির্বাচনে তাপস চৌধুরীর বিরোধীতাকারীদের ভূমিকা রয়েছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এসব করা হচ্ছে বলে তারা জানান। নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি তদন্ত হলে আসল সত্য বের হয়ে আসবে বলে দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি কমিটির সদস্য বাবুল রায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক ফজলুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আশিক আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত মোহাম্মদ লাহিন, পৌর আওয়ামীলীগের সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনিসুর রহমান চৌধুরী সুমন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদ, সাবেক কাউন্সিলর আছাব মিয়া, মিনহাজুর রহমান তাপস, ইশতিয়াক তানভীর, আলমগীর হোসেন , কামাল উদ্দিন, সাইফ উদ্দিন প্রমুখ।