বাঁশখালীতে স্ত্রীকে কুপিয়ে ঘাতক স্বামীর আত্নসমর্পণ
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীতে স্ত্রীকে কুপিয়ে ঘাতক স্বামীর আত্নসমর্পণ
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় নিজ স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করে নিজেই উপজেলা নির্বাহি অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে এসে আত্বসমর্পন করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে ঘাতক স্বামি।
৬ জুলাই’২১ ইং মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের মাইজপাড়ায় ঘঠেছে নির্মম ঘটনাটি। স্বামী আব্দুল জব্বার জসিম (৪২) তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার(৩৫) কে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহতে করলে স্বজনরা আহত ইয়াসমিন আক্তারকে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করার পর ঘাতক স্বামি নিজেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে স্বামী আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় বাবাকে আসামী করে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছে তার ছেলে মোহাম্মদ মামুন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘাতক জসিম গত কয়েক বছর ধরে বেকার। ইচ্ছে করেই কোন কাজকর্ম করেনা সে। বড় ছেলে মামুন মজুরির কাজ করে পরিবারের ভরণ পোষণ চালাত। টাকার জন্য ঘাতক স্বামি জসিম প্রায়ই তার স্ত্রী ইয়াসমিনকে মারধর করত। ঘটনার দিন সিগারেট কেনার জন্য স্ত্রী ইয়াসমিনের কাছে টাকা খোঁজে জসিম। ইয়াসমিন তার কাঁছে টাকা নেই বললে স্বামি-স্ত্রী দুজনের মাঝে শুরু হয় তর্কাতর্কি।
এক পর্যায়ে স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করে উত্তেজিত স্বামি জসিম। অমানবিক ও অবিবেচক এ ঘটনা ঘটানোর পর নিজেই বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরীর কার্যালয়ে এসে আত্মসমর্পণ করে স্বামি আবদুল জব্বার জসিম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষনিকভাবে থানায় খবর দিয়ে জসিমকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল কবীর বলেন, মাকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ঘাতক বাবাকে একমাত্র আসামী করে বড় ছেলে মামুন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। জসিম পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ওসি শফিউল কবীর।