ছাতকে নৌ-পুলিশের উপর হামলা আহত ১০
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে নৌ-পুলিশের উপর হামলা করেছে বালু উত্তোলনকারী বাল্কহেড শ্রমিকরা। এ হামলার ঘটনায় ৬ নৌ-পুলিশ সহ ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রবিবার সন্ধ্যার পর চেলা নদীর নিয়ামতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। টহলরত অবস্থায় থাকা নৌ-পুলিশের উপর বালু উত্তোলনকারী ও বাল্কহেড শ্রমিকরা হামলা চালিয়েছে বলে নৌ-পুলিশ দাবি করেছে।
এতে ছাতক নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মঞ্জুর আলম, এসআই হাবিবুর রহমান, এএসআই সবুজ হোসেন, কন্সটেবল সাব্বির আহমদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, সৈকত কুমার দেব আহত হয়েছেন।
আহতদের ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে বালু উত্তোলনকারী শ্রমিক নওশাদ আলী জানান, চেলা নদীতে বালু উত্তোলন করে বাল্কহেড নৌকায় করে ছাতকে আসার পথে নৌ-পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং গ্রেফতারের চেষ্টা করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের হামলায় শ্রমিক নওশাদ আলী, আব্দুল মতলিব, কালা মিয়া, কামাল উদ্দিন আহত হয়েছেন। এসময় বালু ভর্তি একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌ-পুলিশের নৌকাটিও ডুবে যায় বলে তিনি দাবি করেন। জানা যায়, চেলা নদী সংলগ্ন ছাতক বন বিভাগের জায়গা থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছিলো কতিপয় শ্রমিক।
এ নিয়ে ছাতক বিট ও ফরেষ্ট কর্মকর্তা নিতেশ ঠাকুর নৌ-পুলিশ ফাড়িতে একটি অভিযোগও দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার এ এলাকা পরিদর্শনে যায় নৌ পুলিশ। এসময় ৪ টি বাল্কহেড নৌকায় বালু ভর্তি করতে দেখে তারা সিজার লিস্ট তৈরি করে চলে আসার সময় ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে পিছন থেকে পুলিশের উপর হামলা করে বালু উত্তোলনকারীরা।
এতে মামলার নথিপত্র, পুলিশের ৮টি মোবাইল, তিনটা হ্যান্ডকাফ লুটের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা পুলিশের নৌকাটিও ডুবিয়ে দিয়েছে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ছাতক নৌ-পুলিশ ফাড়ি পরিদর্শন করেন নৌ পুলিশ সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) শম্পা ইয়াসমিন। পরে তিনি হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হামলাকারী যতই প্রভাবশালী হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।