ছাতকে রাস্তার মালিকানা নিয়ে গ্রামবাসীকে অতিষ্ট করে তুলেছে এক প্রবাসী।
আব্দুছ ছালাম শাকিল, জেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)
ছাতকে রাস্তার মালিকানা নিয়ে গ্রামবাসীকে অতিষ্ট করে তুলেছে এক প্রবাসী।
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে গ্রামীণ রাস্তার মালিকানা নিয়ে গ্রামবাসীর সাথে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বিরোধিতা করে আসছে। ব্যাঘাত ঘটাতে চায় রাস্তা নিয়ে।
এই প্রবাসী ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে। এখন গ্রামবাসী ও প্রবাসী একটি মাত্র পরিবার পুরো গ্রামের সাথে অন্যায় ভাবে অবস্থানে রয়েছে। এদিকে প্রবাসী পরিবার কর্তৃক গ্রামবাসীকে মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানী-নির্যাতন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামের লোকজন।
গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের চরবাড়ুকা গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রবাসীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় গ্রামের নসীব আলী সাবেক মেম্বার, মুফিজুর রহমান, আবুল বশর, তাজ উদ্দিন, আনফর আলী, আতাউর রহমান, হামিদ উল্লাহ, ওয়াছির আলী, বাদশা মিয়া, আব্দুর রব, তাজুল ইসলাম, মঈন উদ্দিন, আনছার আলী, আহমদ আলী গজম্বর আলী, আব্দুল জব্বার, আব্দুল মুক্তাদির, শফিক মিয়া, শাহাব উদ্দিন সেলিম আহমদ, আজফর আলী, ফয়জুর রহমানসহ গ্রামের শত শত লোক উপস্থিত ছিলেন।
তারা জানান, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের চরবাড়ুকা গ্রামের মৃত গোলাম মর্তুজার পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোশাহিদ আলী ও দেশে থাকা তার ভাই মুসলেহ উদ্দিন অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা-মখদ্দমা দিয়ে শান্তিপ্রিয় গ্রামবাসীকে হয়রানী করে যাচ্ছে। সম্প্রতি গ্রামের রাস্তার মালিকানা দাবী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয় প্রবাসীর ভাই মুসলেহ উদ্দিন।
তারা জানান, কয়েক যুগ আগে গ্রামের মুরব্বিরা চরবারুকা পয়েন্ট থেকে চানপুর পর্যন্ত রাস্তার জায়গা তৈরী করে পিলার মেরে রেখেছেন। গ্রামবাসীর সাথে তখন প্রবাসী মোশাহিদ আলীর পিতা গোলাম মর্তুজাও রাস্তার জন্য সকলের ন্যায় কিছু ভুমি দিয়েছিলেন।
পূর্ব পুরুষদের তৈরী ওই কাঁচা রাস্তা দিয়েই গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ চলাফেরা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বর্ষার পানিতে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রতিবছরই গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি ভরাটসহ মেরামত করে থাকে। গ্রামের মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ওই রাস্তায় সরকারী অর্থায়নে দুটি ব্রীজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। চরমহল্লাা হাওরে রয়েছে গ্রামবাসীরপ্রায় সাড়ে ৮শ’ হেক্টর ফসলী জমী। এসব জমির ফসল ঘরে তুলতে ওই রাস্তা ব্যবহার করে থাকে গ্রামের কৃষক পরিবার।
একই রাস্তা দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ ও ছাত্র ছাত্রী মাদ্রাসার তালবে ইলিম সহ মসজিদের মুসল্লীরা যাতায়াত করেন। গ্রামের ওই রাস্তা মালিকানা দাবী করে প্রবাসী মোশাহিদ আলী ও তার পরিবার জবর দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে গ্রামের নিরীহ মানুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে। ইতিধ্যেই বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে গ্রামের লোকজনের বিরুদ্ধে অন্তত অর্ধ ডজন মামলা দিয়েছে প্রবাসী মোশাহিদ আলী ও তার পরিবার। এলাকায় প্রবাসী মামলা বাজ হিসাবে পরিচিত।
প্রবাসীর ও তার পরিবারের হয়রানী-নির্যাতন থেকে গ্রামবাসী মুক্তি পেতে এসব সত্য বিষয় প্রকাশ করার জন্য গ্রামের লোকজন সাংবাদিকদের প্রতি অনরোধ জানিয়েছেন।