ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে বাঁশখালীতে আ.লীগের আলোচনা সভায় সাংসদ মোস্তাফিজ
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে বাঁশখালীতে আ.লীগের আলোচনা সভায় সাংসদ মোস্তাফিজ
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ ও যুব মহিলালীগের যৌথ ব্যানারে এক বর্নাঢ্য অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়েছে।
৭ জুন’২১ ইং সোমবার বিকাল ৩ টায় জাতীর মূক্তিসনদ খ্যাত ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ ভবন চত্বরে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনের(বাঁশখালী) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকার সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আ.ন.ম শাহাদত আলম চৌধুরী, বৈলছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, বাঁশখালী পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক তৌফাইল বিন হোসাইন।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন,ছয় দফা জনগণের সামনে বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ঐতিহাসিক ছয় দফা বাঙালির মুক্তির পথ দেখিয়েছে, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।
বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই লক্ষে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত কাজ করেছিলেন। বাঙালির মানস পরীক্ষা করতে ৬ দফার বীজ বপন করেছিলেন। ৬ দফাই স্বাধীনতার অভিযাত্রা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপরেখা ছিল ৬ দফা। তিনি আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফাই মূলত আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ৬ দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে ৬ দফাকে স্থান দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।
সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধ উপেক্ষা করে ৬ দফার প্রতি আয়োজকপক্ষ গুরুত্ব না দিয়ে তা প্রত্যাখান করে। এর প্রতিবাদে জাতীর জনক ও স্বাধিনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই সম্মেলনে আর যোগ দেননি। তবে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬ দফা উত্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সেলিম আক্তার, নুর মোহাম্মদ, হামিদ উল্লাহসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।