গফরগাঁওয়ে নারী প্রধান শিক্ষিকাকে পেটানোর ঘটনা মিথ্যা-বানোয়াট
মোঃ আজাহার সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(গাজীপুর)
গফরগাঁওয়ে নারী প্রধান শিক্ষিকাকে পেটানোর ঘটনা মিথ্যা-বানোয়াট
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত দপ্তরী রাকিবের বাবা আলাউদ্দিন মারা যাওয়ার পর থেকে আলাউদ্দিনের সম্পত্তিতে নজর পড়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নিলুফা খানমের।
ওই সম্পত্তির ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দপ্তরী রাকিব ও প্রধান শিক্ষক নিলুফার মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এর জের ধরেই নিলুফা খানম তাকে মারধরের অভিযোগ করেন।
মারধরের ঘটনা ভূয়া, মিথ্যা, বানোয়াট ও উদেশ্যে প্রণোদিত এমন দাবি করে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দপ্তরী রাকিবের পরিবার। এঘটনার সঠিক তদন্ত ছাড়াই দপ্তরী রাকিব খানকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলেও অভিযোগ তাদের। দপ্তরীর পরিবারের দাবী ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম ও দপ্তরী রাকিবের চাচা মোঃ ফেরদৌস বলেন, দপ্তরী ও প্রধান শিক্ষক সম্পর্কে আপন চাচাত ভাই-বোন। নিলুফা খানমকে মারধরের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট।
সংবাদ সম্মেলনে রাকিব খানের ভাই নাদিম খান বলেন, ‘নিলুফা খানমের বাবা হাফিজ উদ্দিন মাস্টারের গাছ নাদিম খানের ঘরের ওপরে পড়ে। এ ঘটনা থেকেই নিলুফা খানমের সঙ্গে তাদের বিরোধ দেখা দেয়।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিক নিলুফা খানমের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ওই ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা গফরগাঁও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সবুজ মিয়া বলেন, শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় দপ্তরী রাকিব খানকে চাকরি থেকে ডিসমিস করা হয়েছে। পূনরায় ঘটনার তদন্ত চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর ২টার দিকে গফরগাঁওয়ের বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম তাকে পেটানোর অভিযোগ করেন। ওইদিন গভীর রাতে উপজেলার পাগলা থানা পুলিশ দপ্তরি রাকিব খানকে গ্রেপ্তার করে।
পরে শুক্রবার (২৮ মে) দুপুর ২টায় বাদী হয়ে দপ্তরী মোঃ রাকিব খান ও বড় ভাই নাদিম খানকে আসামি করে মামলা করেন শিক্ষক নিলুফা খানম। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশে দপ্তরিকে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।