জেলার খবর

৯৯৯ এ কল ইয়াস’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে দুর্ঘটনাকবলিত লাইটারেজের ১২ নাবিক জীবন্ত উদ্ধার

চট্রগ্রাম প্রতিনিধিঃ

৯৯৯ এ কল ইয়াস’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে দুর্ঘটনাকবলিত লাইটারেজের ১২ নাবিক জীবন্ত উদ্ধার

ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর কবলে বিপর্যস্ত জনজীবন, লন্ডভন্ড আমাদের উপকূলীয় এলাকা। এরই মধ্যে গতকাল (২৬ মে ২০২১) একটি পণ্যবাহী লাইটারেজ বঙ্গোপসাগর দিয়ে গন্তব্যে পাড়ি জমায়। পথিমধ্যে জাহাজটি ঘুর্ণিঝড় ইয়াস’র কবলে পড়ে। প্রচন্ড ঝড়ের মাঝে এক পর্যায়ে জাহাজটি বিকল হয়ে পড়ে এবং স্রোতের তোড়ে একপাশে কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে। জাহাজে থাকা ১২ জন ক্রু তখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। মৃত্যু আজ অবধারিত, বাঁচার আশা নেই বললেই চলে।

প্রকৃতি নিষ্ঠুর হলেও বিধাতা তাদের ওপর সহায় ছিলেন। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজের একজন ক্রু বঙ্গোপসাগরের ভাষানচরের নিকটবর্তী স্থান থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এ কল করে জানান, উত্তাল সাগরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র কবলে পড়েছেন তারা। জাহাজে ১২ জন ক্রু রয়েছেন। বাঁচার আকুতি জানিয়ে তাদের উদ্ধারের জন্য ‘৯৯৯’ এ অনুরোধ জনান তিনি।

জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ তাৎক্ষণিক বিষয়টি কোস্টগার্ড নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, নোয়াখালী জেলা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও বিমান বাহিনী নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়।

‘৯৯৯’ থেকে সংবাদ পেয়ে ওইদিন বেলা সোয়া বারোটায় দুইটি এডব্লিউ-১৩৯ সার্চ এন্ড রেস্কিউ হেলিকপ্টার বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক, চট্রগ্রাম থেকে উড়াল দেয়। প্রায় দেড় ঘন্টা অভিযান চালিয়ে তারা দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটিকে খুঁজে পায়। বিকেল পৌনে পাঁচটায় জাহাজের সকল নাবিককে উদ্ধার করে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার।

উদ্ধারকৃত ১২ জন নাবিককে বিমান বাহিনী জহুরুল হক ঘাঁটি, চট্রগ্রামে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

‘৯৯৯’ এর নিবেদিত প্রাণ কর্মীগণ এভাবেই সংকট ও বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ান পরম বন্ধুর ন্যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button