ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়নের কয়েকটি জায়গা প্লাবিত
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়নের কয়েকটি জায়গা প্লাবিত
ভরা পুর্নিমা আর ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের উপচে পড়া পানিতে তলিয়ে গেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা। স্বেচ্ছাশ্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক দল বাঁধ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
জনপ্রতিনিধিদের সরব চেষ্টা লক্ষ করা গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্দিষ্ট জানা যায়নি। তবে ভেসে গেছে মৎস্য ঘের, পানের বরজ, পাটক্ষেত সহ আংশিক ঘরবাড়ি। সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, কপিলমুনি ইউনিয়নের আগড়ঘাটা ও মালতে কিছু অংশ এবং পার্শ্ববর্তী হরিঢালী ইউনিয়নের কপোতাক্ষ তীরবর্তী হাবিবনগর,পাররামনাথপুর, দরগামহল ও মামুদকাটি এলাকা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে প্লাবিত হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার সরেজমিনে বেঁড়িবাধ মেরামতের উদ্যোগ নেন। পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রম ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা কাজে নেমে পড়েন। প্রাথমিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে হরিঢালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ ফারুক হোসেন লাকি জানান,ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নদীতে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পায়।
এমতাবস্থায় পানির চাপে নরমল বেঁড়িবাধ ছুটে গিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। তিনি বলেন, ৯ নং ওয়ার্ডের হাবিবনগর, দরগামহল, পাররামনাথপুরসহ মামুদ কাটির কিছু অংশে প্লাবিত হয়েছে। চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ইউপি সচিব বিলাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিকে কপিলমুনি ইউনিয়নের আগড়ঘাটা, মালথ এলাকায় গিয়ে সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও নিজ উদ্যোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার।
তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার ইউনিয়নের কপোতাক্ষ তীরবর্তী মালত পদ্মপুকুর নামক জায়গায় বেঁড়িবাধটি ভেঙে গিয়ে প্লাবিত হয়। আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫০/৬০ জনকে সাথে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধটি সংস্কার করি। দীর্ঘ প্রায় ৪/৫ ঘন্টা চেষ্টার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কয়েক লক্ষ টাকা হবে বলে ধারনা করেন তিনি।