কপিলমুনির হাউলি স্লুইচ গেট দিয়ে ঢুকানো হচ্ছে অতিরিক্ত পানি; প্লাবিত হওয়ার আশংকা
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
কপিলমুনির হাউলি স্লুইচ গেট দিয়ে ঢুকানো হচ্ছে অতিরিক্ত পানি; প্লাবিত হওয়ার আশংকা
কপিলমুনির হাউলি বিলের স্লুইচ গেট দিয়ে প্রবল বেগে ঢুকছে জোয়ারের পানি। এমতাবস্থায় হাউলি খাল ডুবে গিয়ে এলাকার মৎস্য ঘেরের ভেড়িবাঁধের কানায় কানায় পানি উঠে গেছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এতদ্বাঞ্চলের পানি নিষ্কাশন ও সরবরহের একমাত্র মাধ্যম হাউলি খালটি প্লাবিত হয়ে বিলটির শত শত বিঘা মৎস্যঘের ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর এতে ভেসে যাবে কোটি কোটি টাকার চিংড়ি সহ অন্যান্য মাছ। আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হবে কয়েকশ প্রান্তিক মৎস্য চাষী। এদিকে চলমান পুর্নিমার গোনে স্লুইচ গেট সংশ্লিষ্ট হাড়ীয়া নদীতে স্বাভাবিক পানির চেয়ে কয়েকফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই ভরা পূর্নিমায় ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতির আশংকা থাকলেও পুর্ব হতে খাল দিয়ে প্রবেশ করছে জোয়ারের পানি। এতে দুশ্চিন্তা নিয়ে দিন কাটছে প্রান্তিক মৎস্য চষীদের। শুধু হাউলি মৌজা নয় বরং এর সংলগ্ন বিভিন্ন মৌজার হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়ে কোটি কোটি টাকার চিংড়ি, বাগদা, গলদা, ও সাদা মাছ ভেসে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
এলাকার মৎস্য চাষীরা জানান, গত কয়েক বছর চিংড়ি চাষে অব্যাহত লোকসানের মুখে পড়ে পথে বসেছে অনেকে। অনেক চাষী লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে দেউলিয়া হয়ে ঘুরছে। আবার কেউ কেউ ঋনগ্রস্থ হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। এরই মধ্যে চলতি ভরা পূর্ণিমায় প্রবল বিগ্রহে ধেয়ে আসা ঘূর্নিঝড় ইয়াসের পূর্বাভাসে ভীতিকর অবস্থায় হাউলির স্লুইচগেট দিয়ে পানি আসায় মৎস্য চাষীরা শংকিত হয়ে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্লুইচগেট দিয়ে পানি আসার ঘটনাটি ২ নং কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মো: কওছার আলী জোয়ারদারকে জানালে তিনি জানান, স্লুইচ গেটটির নিয়ন্ত্রক এ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউনুচ মোড়ল। বিপদ দেখা দিলে প্রয়োজনে ভেড়িবাঁধ ছুটিয়ে দিবেন।
আর গেট নিয়ন্ত্রক ইউনুচ মোড়লের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটি তার স্ত্রী রিসিভ করে জানান, তিনি বাইরে গেছেন। কয়েক বার চেষ্টায় তার স্ত্রীর কাছ থেকে একই উত্তর পাওয়া যায়। এবিষয়ে এলাকার শত শত মৎস্য চাষি উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের আহবান জানিয়েছেন।