বগুড়ায় ভরা মৌসুমে ইরিধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক
করোনার প্রার্দুরভাবে যখন সর্বত্র অস্থিরতা ঠিক সে সময়ে বগুড়া সোনাতলায় ভরা মৌসমে চলছে শ্রমিকের ঘামে ফলানো সোনার ধান ঘরে তোলার উৎসব।
কাঁকডাকা ভোর হতে শুরু করে দিনভর ধান কাটা মাড়াই ও শুকাতে ব্যস্ত কৃষক পরিবারের লোকজন। এবারে যদিও আবহাওয়া অনেকটা ভাল ঝড় বৃষ্টি কম৷ কিন্তু এই উপজেলার বিভন্ন এলাকায় রয়েছে ব্যপক শ্রমিক সংকট ৷সব মিলিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই শেষে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক কৃষনীরা।
উপজেলার হাট করমজা,কর্পুর,বালুয়াহাট,পাকুল্লা এলাকা সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,কৃষকের স্বপ্ন সেই সোনালী ধান মাঠে পেকে সোনার রং ধারন করে আছে। কর্পুর এলাকার কৃষক মোঃ জয়নাল আলী বলেন,এবারে ধানের ফলন প্রচুর পরিমান ভাল পাশাপাশী ধানের দামটাও ৯০০/১০০০ টাকা কাচা অবস্থায়৷ এ বছরে ইরি ধান বিঘা প্রতি ২০/২৫ মন হারে মাঠে ফলেছে।
তবে তিনি জানালেন চলতি ইরি মৌসুমী অন্য এলাকা থেকে ধান কাটতে আসা শ্রমিক না আসায় এবারে ধান ঘরে তুলতে খরচের পরিমান অনেক বেশী হবে।
ধান কাটার শ্রমিক জহিরুল,এবাদুল,মহিদুল,রাসেল,জাহাঙ্গীর জানালেন,আমরা এ এলাকার শ্রমিক এ বছরে ইরি ধান কাটতে জমি মালিকের কাছ থেকে নিচ্ছি বিঘা প্রতি তিন হাজার টাকা৷তবে তাদের দাবি বাহির এলাকা হতে শ্রমিক না আসায় খুশি তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মাছুদ পারভেজ বলেন, এ বছরে ইরি মৌসুমে এই উপজেলায় ১০ হাজার২৭৫ হেক্টর জমিতে ইরি ধান রোপন করেছেন কৃষকরা ৷তিনি আরো বলেন ভুর্তুকি হিসাবে ৫০০০ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে ধানের বিজ দেওয়া হয়েছে এবং তিনিা২৮ জাতের ধানটি কৃষককে দ্রত কাটতে বলেন।