অবাধে চলছে মধুপুরে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব
টাঙ্গাইলের মধুপুরে অবাধে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোন ফসলের জমি কেটে পুকুর খনন অথবা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবেনা। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১১টি পয়েন্টে আবাদি জমি সহ নদী খনন ও পাহাড় কাটার মতো মহোৎসব চলছে।
যা মধুপুর উপজেলায় অতীতে দেখা যায়নি। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এবং প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়েই দিনরাত মাটি ভর্তি ট্রাক ও হাইড্রোলিক চলছে বিভিন্ন ইট ভাটায়।
গ্রামের বিভিন্ন কাচাপাকা রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
মাটি ভর্তি অতিভারী লাইসেন্স বিহীন হাইড্রোলিক ও ট্রাক দিনরাত চলাচলের ফলে নতুন ও সংস্কার করা পাঁকা রাস্তা গুলো ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে। রাস্তার ধুলোমাটিতে আশপাশের বাসাবাড়ি, দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঝে মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও তা ঘন্টা খানেকের মধ্যে আবারও বীরদর্পে শুরু করে মাটি কাটা। এই সকল ভূমি দস্যুদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হওয়ার কারণেই মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রায় ১১টি পয়েন্টে এক্সক্যাভেটর (ভ্যেকু)দিয়ে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে জমির উর্বরতা নষ্ট করা হচ্ছে যা আইন বহির্ভূত।
এই মাটি বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। মাটি ব্যবসায়ীগন এক শ্রেণীর দালালের মাধ্যমে জমির মালিককে লোভ দেখিয়ে কখনও বা বেকায়দায় ফেলে ৬ থেকে ৮ ফুট গর্ত করে মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন এক টুকরো জমিও ফাকা রাখা যাবেনা, সেখানে মাটি কাটার কারনে আবাদি জমি প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ নতুন পাকা রাস্তা গুলো ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে এবং দিনরাত মাটি ভর্তি হাইড্রোলিক গাড়ি চলাচলের কারনে ধুলোমাটিতে বাড়ি ঘর ভরে যাচ্ছে ও খাবার বিনষ্ট হচ্ছে। মধুপুরের প্রায় সবগুলো ইটের ভাটা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অবাদে মাটি কাটা বন্ধ করা না হলে মানববন্ধনের কর্মসূচী দিবে এমনটাই জানিয়েছেন কয়েকজন ভোক্তভোগী।