জেলার খবর

কপিলমুনিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কর্তৃক ঘের দখলের অভিযোগ!

পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)

কপিলমুনিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কর্তৃক ঘের দখলের অভিযোগ!

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কর্তৃক অন্যের মৎস্য ঘের জবর দখল করার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সকালে উপজেলা ২ নং কপিলমুনি ইউনিয়নের গোয়ালবাথান আমড়াতলা নাম জায়গায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনস্পেক্টর সঞ্জয় দাশ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং দখল প্রক্রিয়া বন্ধের জন্য কোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। ততক্ষণে মৎস্য ঘেরের টিনের বাসা ভাংচুর, দুটি স্যালোম্যাশিন ও বেঁড়িবাধ কেটে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে তারা। ঘটনায় অত্র এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী ঘের মালিক উপজেলার নোয়াকাটি গ্রামের মৃত নুরবক্স গাজীর ছেলে শহিদুল জানান, গোয়াল বাথান মৌজার এস এ ২৮ নং খতিয়ানে জমি ১২.৪৪ একর ও এস এ ৯৮ খতিয়ানে জমির পরিমান ২.২৪ অনুযায়ী দুটি খতিয়ানের সর্বমোট ৮.৬৬ একর জমিতে পৈত্রিক ও খরিদা সুত্রে দীর্ঘদিন যাবৎ মৎস্য ঘের পরিচালনা করাকালে প্রতিপক্ষ আসাদুল ইসলাম গং একটি ভৌতিক নিলাম খরিদের কথা বলে দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা রুজু করে। যার নাং ০৮/২০০৭। উক্ত মামলাটি আপীল দেঃ ৮৭/২০১৮ মালায় বিচারাধীন রয়েছে।

আপীল মামলায় স্বাক্ষী শুনানির জন্য মহামান্য হাইকোর্টে একটি সিভিল রিভিশন দাখিল করেন মালিক শহিদুল ইসলাম। যার রিভিশন নাং ১৪৫৫/২০১৯। যা নিন্ম আদালতে সকল আদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে আদেশ দেন মহামান্য হাইকোর্ট। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষ আসাদুল গং উক্ত জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রতিপক্ষ আছাদুল গংয়ের ভীতিকর পরিস্থিতি ও ঘের জবরদখলের হুমকি ঘটনার এমন কর্মকান্ড জানতে পেরে ঘের মালিক শহিদুল গত ০১/০৩/২১ তারিখে নির্বাহী আদালতে ১৪৪ একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে পাইকগাছা থানা ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।

যা কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির দারোগা এস আই আলিম দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে উভয় পক্ষকে নোটিশ দ্বারা অবগত করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। এদিকে এ ঘটনার পর আদালতের ১৪৪ ধারা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী প্রত্যাক্ষ সহায়তা ও তারই উপস্থিতিতে শনিবার সকালে শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক উক্ত মৎস্য ঘেরের বাসা ভাংচুর, দুটি স্যালো চালিত ম্যাশিন, চারামাছ লুট ও বেঁড়িবাধ কেটে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে।

খবর পেয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনস্পেক্টর সঞ্জয় দাশ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং তাদের এ কাজ বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর সঞ্জয় দাশ জানান, আমি খবর পেয়ে সেখানে যায় এবং কাজ বন্ধ করি। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী নিজে ওই ঘেরে বাসা বাঁধছিল। এবং বেঁড়িবাধটি কেটে দেয়। তিনি আরও বলেন, উভয় পক্ষকে কাজপত্র দেখাতে বলেছি।

এদিকে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী জানান, আমি আসাদুলের এ জমিটার কাগজ পত্র সঠিক দেখে বার্ষিক চুক্তিতে ডিট করে নিয়েছি। এবং সেখানে কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে আমি তাদের জমি ছেড়ে দেব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button