গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কৃষি ভূমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি।
মোঃ আজাহার সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(গাজীপুর)
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কৃষি ভূমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি।
গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় কৃষি ভূমির উপরিভাগ টপ সয়েল কেটে নিচ্ছে ইটভাটায়। স্থানীয়রা জানান প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত একশ্রেণির অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা মাটি কাটার মহা উৎসবে মেতে উঠে।ফসলে লাভ হবেনা বলে কৃষকদের নানা ভাবে বুৃঝিয়ে কৃষি জমির টপ সয়েল বিক্রয় করতে উদ্ভুদ্ধ করছে।
উপজেলায় ৫০টির মতো ইটভাটা রয়েছে সিজনে মাটির জোগান পুরোটাই আসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি ভূমি থেকে।
সরেজমিনে দেখা যায় কালিয়াকৈর উপজেলার কালিদহ, বরই বাড়ি, জালুয়া ভিটি চানপুর,সাকাস্বর নদীর পাড়, খারাজোড়া এলাকা ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে ইটভাটা সংশোধীত আইনে ইট তৈরির উদ্যেশে পাহাড় টিলা কৃষি ভূমির মাটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেনা এখানকার মাটি ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া বড় বড় ড্রাম ট্রাকে করে মাটি বহন করায় ওভার লোডিং এর কারণে রাস্তার ক্ষতি সাধন হচ্ছে।এছাড়াও ধুলায় অন্যন্য ফসলের ক্ষতি ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মাটির উর্বরাশক্তি। আর এই উর্বরাশক্তি হলো মাটির উপরিভাগ বা টপ সয়েল,যা তৈরি হতে সময় লাগে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর। এছাড়া পৃথিবী পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মাটি। এভাবে ফসলি জমি নষ্ট হলে খাদ্য উৎপাদনে বড় রকমের বাঁধার সৃষ্টি হবে আশংকা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ মিতৃকা গবেষণা কেন্দ্রের ২০০০-২০১০ পর্যন্ত জরিপ গবেষণা তথ্য অনুযায়ী আবাসন অবকাঠামো শিল্প কারখানা রাস্তা ঘাট সহ নান উন্নয়নমূলক কাজের ফলে গড়ে প্রতিবছর ৬৮, ৭০০ হেক্টর বা ০.৭২৮% হেক্টর অকৃষি জমিতে পরিনিত হচ্ছে। নতুন করে কৃষি জমি আর বাড়বেনা তাই কৃষি রক্ষা এর কোন বিকল্প নাই।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আদনান চৌধুরী জানান,ইতিমধ্যে কিছু এলাকায় অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কালিয়াকৈর একটি বড় উপজেলা পর্যাপ্ত লোকবল না থাকার কারণে অনেক সময় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়না বলেও তিনি জানান। তিনি আরো জানান অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত আছে।