টাঙ্গাইলের মধুপুরে ফসলী জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব।
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বিচারে কৃষিজমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রশাসনের চোখের সামনে মাটি কেটে বিক্রি হলেও ঘটনার সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত বলে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে তিন ফসলি জমিকেও পুকুর বানাচ্ছে এসকল মাটি ব্যাবসায়ীগন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর, মধুপুর পৌরসভার জটাবাড়ী চরের ভিটা, রাধানগর, টেংরী, দামপাড়া শোলাকুড়া বিল , দামপাড়া গ্রামের ফসলি জমির মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে পৌর এলাকার শোলাকুড়া বিলে ও দামপাড়া গিয়ে দেখা যায়, মাটি কেটে কৃষিজমিতে গভীর গর্ত করে পুকুর বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে পাশের জমি গুলো ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসী। ফসলী জমি হতে এ ভাবে মাটি কাটার ফলে কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। আর এসব মাটি ভর্তি ট্রাক ও হাইড্রোলিক গাড়ীতে করে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে।
পিরোজপুর, জটাবাড়ী, রাধানগর, গ্রামে দেখা যায়, অনেকগুলো খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। এসব মাটি বহন করে নেওয়ার জন্য অর্ধশতাধিক ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে। পৌরসভার শোলাকুড়ী বিলে দুটি খনন যন্ত্র (ভেকু) বসিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। মাটি বহন করার জন্য ব্যাবহার করা হচ্ছে হাইড্রোলিক ট্রাক।
এসব ট্রাকে অতিরিক্ত মাটি বোঝাই করে রাস্তায় চলা চল করার ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলার গ্রামীন পাঁকা রাস্তা গুলো ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান বিভিন্ন এলাকার লোকজন। নবনির্মিত পাঁকা রাস্তা গুলোতে এসব মাটির গাড়ী চলা চলের ফলে অনেক পাঁকা রাস্তা ফেটে নষ্ঠ হচ্ছে বলেও অভিযোগ এলাকা বাসীর।
বুধবার(৬ জানুয়ারী) রাতে মধুপুর পৌর এলাকার দামপাড়া ও শোলাকুড়া বিলে মাটি কাটার সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মধুপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্হলে গিয়ে ভেকু মালিক ও ব্যাবসায়ীদেরকে না পেয়ে তাদের সহযোগিদেরকে নিষেধ করে আসলেও আবার গভীর রাত থেকেই শুরু হয় মাটি কাটার মহোৎসব।