আরো...

প্রধান মন্ত্রীর সু-দৃষ্টিতে দেশের রেল যাতায়াত যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যক্রম দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে রেলের, মহাপরিচালক শামাছুজ্জামন।

এসএম স্বপন, জেলা প্রতিনিধি-(যশোর)

প্রধান মন্ত্রীর সু-দৃষ্টিতে দেশের রেল যাতায়াত যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যক্রম দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে রেলের, মহাপরিচালক শামাছুজ্জামন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নের কাজ দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সু-দৃষ্টিতে দেশের রেল যাতায়াত যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যক্রম দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ভারত বাংলাদেশ এর সাথে যাত্রী যাতায়াতের পাশাপাশি আমদানি রফতানি বানিজ্যর জন্যও রেলে পণ্য আমদানিও করা হচ্ছে। এতে খরচ কম হচ্ছে যেমন, তেমন ব্যবসায়ীরাও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।

এই রেল ষ্টেশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর একটি ম্যুরাল স্থাপন করারও পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের বেনাপোল ষ্টেশন এর গুডস ইয়ার্ড সম্প্রসারনের কাজ শুভ উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে কথাগুলো বললেন রেলওয়ের মহাপরিচালক শামছুজ্জামান ।

রোববার বেলা সাড়ে ১০ টার সময় বেনাপোল রেল ষ্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের বেনাপোল ষ্টেশন এর গুডস ইয়ার্ড সম্প্রসারনের কাজ এর শুভ উদ্ভোধন করেন রেলওয়ে মহাপরিচালক শামছুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ( পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ।

প্রধান অতিথি মহাপরিচালক শামছুজ্জামান বলেন, দেশের উন্নয়ন এর জন্য পণ্য সরবরাহ এবং যাত্রী চলাচলের জন্য রেলের বিকল্প নেই। রেলে মানুষ চলাচলে যেমন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তেমনি খরচ ও কম। এছাড়া এক স্থান হতে অন্য স্থানে পণ্য আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও সাশ্রয় হয়। এছাড়া মধ্যে সত্বভোগিদের হাত থেকেও কৃষকেরা পরিত্রান পায়। তারা তাদের নিজেদের পণ্য নিজেরা রেল যোগে গন্তব্য নিতে পারে। এর জন্য পণ্য পরিবহন ভ্যান বাড়ানো হবে।

বেনাপোল রেল ষ্টেশনের দুই পাশে রেলের জায়গা পড়ে রয়েছে। সেসব জায়গার সঠিক ব্যবহার করে রেল যোগাযোগ বাড়ানো হবে। এসময় তিনি বলেন বেনাপোল নাভারন এর চেয়ে শার্শার উন্নয়ন কম। যদিও এটা একটি উপজেলা। তাই শার্শার উন্নয়ন করতে হলে সেখানে একটি ষ্টেশন ও পণ্য নামানো ইয়ার্ড করা যায় কিনা তা দেখতে হবে। এছাড়া খুব স্বল্প সময়ের জন্য আমেরিকা থেকে খুব উন্নত মানের রেল আমদানি করা হবে।

কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভারত থেকে ওয়াগনে পণ্য আসার কারনে বাংলাদেশ কাস্টমস এর রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর এই পণ্য আসার ফলে প্রায় ৩ শত কোটি টাকা কাস্টমস বেশী রাজস্ব আদায় করেছে। তাই রেলের বিকল্প কিছু নেই। বেনাপোলের আরো উন্নয়ন তথা দেশের আরো উন্নয়ন করতে হলে প্রয়োজন এখানে রেল এর সম্প্রসারন। রেল লাইনের সম্প্রসারণ হলে সঠিক ভাবে বেনাপোল বন্দরে পণ্য উঠানামার কাজও করা যাবে। সেই সাথে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ড এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, ভারতের সাথে ব্যাবসা বানিজ্য, চিকিৎসা ভ্রমন সহ অন্যান্য কাজের জন্য একমাত্র সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে বেনাপোল। কারন দেশের সকল পথে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বেনাপোল দিয়ে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। ভারতের দিল্লী, মোম্বাই, পুনে, সহ সকল প্রদেশ এবং এশিয়া মহাদেশের সকল রাষ্ট্রের সাথে বেনাপোল দিয়ে যোগাযোগ করা সহজ মাধ্যম। আমরা বেনাপোল এর উন্নয়নের জন্য অনেক আন্দোলন করেছি। এই রেল চালু, বেনাপোল বন্দর, কাস্টমস হাউজ, ছয় লেনে রাস্তা উন্নয়ন সহ নানা ধরনের উন্নয়নের জন্য আন্দোলন করে আসছি। তিনি বেনাপোল এর সাথে রেল যোগাযোগ সারাদেশের সাথে করার জন্য দাবি জানান।

বেলা ১২ টার সময় তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের বেনাপোল ষ্টেশন এর গুডস ইয়ার্ড সম্প্রসারনের কাজ এর শুভ উদ্বোদন এর ফলক উন্মোচন করেন। এরপর তিনি বেনাপোল বন্দরের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল, যশোর নাগরিক কমিটির সভাপতি শেখ মাসুদুর রহমান, রেলওয়ে (পশ্চিম) এর প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান, বিভাগিয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (পাকশি) সাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button