পাইকগাছার সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল নিজ খরচে দেলুটির ভাঙ্গন এলাকায় ভেড়ীবাঁধ নির্মান করলেন।
এ কে আজাদ, খুলনার পাইকগাছা প্রতিনিধি-ঃ
পাইকগাছার সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল নিজ খরচে দেলুটির ভাঙ্গন এলাকায় ভেড়ীবাঁধ নির্মান করলেন।
পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস, এম, এনামুল হক ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত দেলুটি ইউনিয়নের কালিনগর ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভেড়ীবাঁধ নির্মান করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার নিজ ইউনিয়নের ৫শ শ্রমিক নিয়ে ভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে এ বাঁধের কাজ করে সফল হন। স্থানীয় লোকজন ২বার স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মান করলেও তা পূনরায় ভেঙ্গে প্লাবিত হয়। ভবিষ্যৎ আশার আলো না দেখে যখন অত্র এলাকার লোকজন অন্ধকারে ছায়া দেখতে পায়। তখন পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন সোলাদানার চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক মঙ্গলবার সকালে তার ইউনিয়ন থেকে ৫শ লোক নিয়ে এবং অত্রাঞ্চলের হাজার হাজার লোকের সহযোগীতায় বাঁধ বাঁধতে শুরু করেন তিনি। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিজেই বাঁধ বাঁধার নেতৃত্ব দিয়ে এ বাঁধ সমাপ্ত করেন। উল্লেখ্য, ঘুর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ২২নং পোল্ডারের বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ক্ষতি হয় কৃষি জমি, ঘর-বাড়ী। ভাঙ্গন কবলিত কালিনগরে বিকল্প দু’দফা ২হাজার লোক স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ দিলেও তার শেষ রক্ষা হয়নি।
এদিকে এলাকার মানুষের দুর্বিসহ জীবন যাপনে এগিয়ে আসেন পার্শ্ববর্তী সোলাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস, এম, এনামুল হক।
ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামতের জন্য তিনি তার ইউনিয়ন থেকে ৫শ লোক নিয়ে নিজেই নেতৃত্ব দিয়ে বাঁধটি সমাপ্ত করেন। এ সময় রান্না করা ৫ ডেগ খিচুড়ী তাদেরকে খাওয়ান চেয়ারম্যান এস, এম, এনামুল হক। তিনি এ বিষয়ে জানান, যেহেতু ক্ষতিগ্রস্থ এ ইউনিয়নটি আমার ইউনিয়নের পাশে অবস্থিত। তাদের দুর্বিসহ জীবন-যাপন দেখে আমি খুবই মর্মাহত। দুবার বাঁধ দিলেও রাখতে না পারায় অামি বিবেকের তাড়নায় এগিয়ে এসে নিজ খরচে ৫শ লোক নিয়ে বাঁধ বেঁধে দিয়েছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দ্রিজেন মন্ডল, ইউপি সদস্য সুপদ রায়, বিশ্বজিৎ মন্ডল, অাশিষ হালদার, নিরাপদ কবিরাজ, ডালিম রায়, রাম টিকাদার, প্রশান্ত, উত্তম। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল জানান, ছোটভাই চেয়ারম্যান এনামুল আমার ইউনিয়ানের পানিবন্ধি মানুষকে বাঁচাতে সাহার্য্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অমি তার ঋন কোনদিন শোধ করতে পারবোনা।