গাজীপুরের শ্রীপুরে এএসআই ফারুকের প্রশংসায় এলাকাবাসী পঞ্চমুখ।
মোঃ আজাহার সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে এএসআই ফারুকের প্রশংসায় এলাকাবাসী পঞ্চমুখ।
গাজীপুর জেলা পুলিশের আওতাধীন শ্রীপুর মডেল থানায় কর্মরত উপ সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) ওমর ফারুক। শ্রীপুরের অধিকাংশ মানুষ তাকে গরীবের দারোগা হিসাবেই চিনেন জানেন।
অপরাধ ও বিশৃংখলা, দাঙ্গা- হাঙ্গামা প্রতিরোধ, সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ওমর ফারুকের কর্মকান্ডে শ্রীপুর মডেল থানা এখন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসাবেও পরিচিত হচ্ছে।
গাজীপুর জেলা পুলিশ কর্মকর্তা (এসপি) শামছুন্নাহারের নির্দেশনায় ও শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেনের দিক নির্দেশনায় এএসআই ওমর ফারুক ইতিমধ্যে দক্ষ, বিনয়ী, মানবিক, সাহসী, নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
গরীবের দারোগা খ্যাত যিনি জনগণের পুলিশ হিসাবে প্রশংসিত হয়েছেন। সেবাপ্রার্থীর সঙ্গে মানবিক আচরণ, ভিকটিমের সাথে কথা বার্তা ও সার্বিক পরিস্থিতিতে তাদের মানসিক অবস্থাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। থানায় সেবা নিতে আসা মানুষজনের সাথে কথাবার্তায় ও কাজে কর্মে বন্ধুসুলভ আচরণ, ভিকটিমের মধ্যে আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন, ভিকটিমের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও সহযোগিতামূলক ও শোভনীয় আচরণসহ সার্বিক কাজে তিনি একজন মানবিক পুলিশ এএসআই ওমর ফারুক ।
শ্রীপুরে প্রত্যন্ত এলাকায় দিন নেই, রাত নেই। সারাক্ষণই ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। মানুষের জন্য অকাতরে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব শেষ না করে ঘরে ফেরেন না, ছুটে যান মানুষের কাছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষ যাদের কার কী সমস্যা, খোঁজে বের করেন। তারপর নিজের মতো করে দেন সমাধান। আর এজন্য গরীবের দারোগা হিসেবে ইতোমধ্যে সবার কাছে পেয়েছেন গ্রহণযোগ্যতা।
এএসআই ওমর ফারুক বলেন, এই জীবনে মানুষের ভালোবাসা অনেক পেয়েছি। আমিও মানুষকে ভালোবেসে সারাজীবন সেবা দিয়ে যেতে চাই। সকল প্রশংসাই গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামছুন্নানর পিপিএম স্যার ও শ্রীপুর থানার ওসি খন্দকার ইমাম হোসেন স্যারের। প্রতিকূলতার মধ্যে উনারা বট গাছের ন্যায় আগলে রেখে সঠিক নির্দেশনা দেন। শ্রীপুর থানা পুলিশেই পরিবর্তনের যে হাওয়া, কাজের যে গতিশীলতা, সফলতা সবকিছুর পেছনে সফলতা এসপি স্যার ও ওসি স্যারের।
জানা যায়, এএসআই ওমর ফারুক ইতিপূর্বে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি পুলিশে কর্মরত ছিলেন। সে সময় অর্থাৎ ২০১৮ সালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ৭০ কেজি গাঁজা,১২শ গ্রাম হিরোইন,তিনটি অস্ত্র সহ একাদিক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
এছাড়াও ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মাদক উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তারসহ সার্বিক সফলতায় ৭ বার শ্রেষ্ঠ হিসাবে পুরস্কৃত হন।
প্রায় এক বছরে ১ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করে সুনাম অর্জন করেন।
এরপর ময়মনসিংহ থেকে বদলী হয়ে আসেন ঢাকা রেঞ্জের গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানায়। সেখানে একবছর কর্মরত থাকাকালে ওয়ারেন্ট তামিল, সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। অনুরুপ কর্মকান্ডের পাশাপাশি শ্রীপুর মডেল থানাতেও দক্ষতার সাথে, মানবিক, সাহসী, নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বে ভূমিকা রাখছেন।
শ্রীপুরের বরমীর বাসিন্দা নাজমা আক্তার জানান, স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে থানা পুলিশের শরনাপন্ন হই। ফারুক স্যার আমাদের দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহ মিটিয়েছেন। তিনি সত্যিই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার । পুলিশ সম্বন্ধে আগে যে ধারনা ছিল। ফারুক স্যার সেই ধারনা পাল্টে দিয়েছেন।
শ্রীপুর বরমীর বাসিন্দা ফাতেমা বলেন, জমি-জমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। ফারুক স্যার আমাদের সেই বিরোধ মিটিয়ে দিয়েছেন। এখন আমরা শান্তিতে আছি।
পেলাইদ এর বাসিন্দা বিলকিস আক্তার বলেন, দুই বছর আগে স্বামী আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। এরআগে যৌতুকের দাবীতে আমার উপর চাপ প্রয়োগ করত। ফারুক স্যার সেই সমস্যার সমাধান করেছেন। ফারুক স্যার আমার স্বামীকে খুঁজে এনেছেন। আমাদের সমস্যার সমাধান করেছেন। এখন আমরা শান্তিতে আছি । ঘরে খাট ছিলনা। স্যার কিনে দিয়েছেন।