একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে রাজি হওয়ার পরও রক্ষা পেলেন না গৃহবধূ।
মোঃ হৃদয় হোসেন, গজারিয়া প্রতিনিধি-(মুন্সীগঞ্জ)
একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে রাজি হওয়ার পরও রক্ষা পেলেন না গৃহবধূ।
মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় গৃহবধূকে ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেও ছবি সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ ধর্ষক রফিক (৩০) ও তার বন্ধু মোয়াজ্জেমকে (৩০) আসামি করে গতকাল বুধবার রাতে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ধর্ষক রফিক উপজেলার মিরেরগাঁও এলাকার মফিজুল ছেলে ও তার বন্ধু মোয়াজ্জেম হোসেন (৩০) আনারপুর এলাকার মতিন প্রধানের ছেলে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ (২২) উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের মীরেরগাও গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন জানান, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিক। কাজের সুবাদে স্বামী বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতো।
গত ৩-৪ মাস আগে তার বসতঘরে বৈদ্যুতিক তার ওয়ারিং করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ান রফিকের সঙ্গে গৃহবধূর পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো ও বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতে। একদিন কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতননাশক ওষুধ খাওয়ালে গৃহবধূ অচেতন হয়ে পড়লে রফিক ওই গৃহবধূর দেহের স্পর্শকাতর ছবি ধারণ করে।
পরে ধারণকৃত ছবি সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে রফিক। রফিকের বন্ধু মোয়াজ্জেম গৃহবধূকে রফিকের সঙ্গে এ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে বলতো।
অন্যথায় ওই ধারণকৃত ছবি সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দিবে বলে হুমকি দিতো। গৃহবধূর এ সম্পর্ক রাখতে না চাইলে ধর্ষক রফিক গৃহবধূর ওই ধারণকৃত ছবি সম্প্রতি সোশাল মিডিয়া প্রকাশ করলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধূ বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কার আইডি থেকে কি ধরনের আপত্তিকর ছবি প্রকাশ হয়েছে ও ঘটনার তদন্তসহ আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।