জেলার খবর

পাইকগাছায় ছাত্রলীগ কর্মী প্রান্ত হত্যা ৪ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও আটক নেই, মামলার অগ্রগতি নিয়ে পরিবার হতাশ।

এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)

পাইকগাছায় ছাত্রলীগ কর্মী প্রান্ত হত্যা ৪ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও আটক নেই, মামলার অগ্রগতি নিয়ে পরিবার হতাশ।

খুলনার পাইকগাছায় আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী প্রান্ত ঘোষ (২৪) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গত ৪ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও নৃশংস ঘটনায় জড়িতদের কাউকে আটক করতে পারেনি প্রশাসন।

এদিকে মামলার অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। প্রশ্ন উঠেছে, প্রান্তকে কেন পিটিয়ে হত্যা করা হলো, কি ছিল তার অপরাধ? সেদিন সন্ধা পরবর্তী ঐ মিশনে কারা কারা অংশ গ্রহণ করে এবং ঘটনা পরবর্তীতে কারা সেখানে উপস্থিত হয়? এরপর আহতাবস্থায় প্রান্তকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে রোড এক্সিডেন্ট এর মিথ্যা ইনফরমেশন কে বা কারা লিপিবদ্ধ করিয়েছিল? কি বা তার কারণ? নাকি বিষয়টি সুপরিকল্পিত? নাকি ঘটনার আড়ালে অন্য কোন রহস্য লুকায়িত এমন সব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে।

স্বজনদের মতে, ঘটনার আগে ও পরে নিহত প্রান্তের সাথে কারা ছিল বা কত সময়ের ভিতরে মারপিট সংঘটিত হয়েছিল? হাসপাতালে কে বা এক্সিডেন্টের তথ্য দিল পরিস্কার হওয়া দরকার।

সুত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ উপ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আনোয়ারুল ইকবাল মন্টুর প্রচারনায় উপজেলার গড়ইখালীর এক নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণের জন্য ঐদিন বিকালে স্থানীয় সালাউদ্দিন সহ অন্যান্য ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে মোটরসাইকেল যোগে সভাস্থলে যায় প্রান্ত। এরপর সভা শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী প্রান্তসহ বন্ধুরা মিলে বাড়ি ফেরার সময় লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া এলাকায় মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী বলে ধাওয়া করে দুষ্কৃতকারীরা।

এক পর্যায় মোটরসাইকেল দাঁবড়িয়ে প্রান্তকে ধরে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে এবং রক্তাক্ত জখম করে তারা। মুমূর্ষাবস্থায় ঐ রাতে তাকে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্যকম্প্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনায় প্রেরণ করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ঘটনার পর নিহত প্রান্তের ভাই অনুপ বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলেও দীর্ঘ ৪ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এজহারভুক্ত কোন আসামী আটক হয়নি।

এদিকে নিহত প্রান্তকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটলেও উপজেলা স্বাস্থ্যকম্প্লেক্সের রিপোর্ট বলছে ভিন্নকথা। নিহতের ভাই ও মামলার বাদী অনুপ ঘোষ জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টের কথা বলে রিপোর্ট এন্ট্রি করা হয়েছে। এমন কাজটি কে বা কারা করেছে সেটাও তিনি অবগত হতে পারেননি। তিনি বলেন, আমার ছোটভাই প্রান্ত’র ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল সম্পুর্ন অক্ষত রয়েছ, বিষয়টি অধিকতর রহস্যজনক বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে নিহত প্রান্ত ঘোষ হত্যা মামলার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান, মামলাটি সিআইডি তে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button