সেনবাগে ভবন থেকে ফেলে স্বামী হত্যার অভিযোগ।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কানকিরহাট আরএস টাওয়ারের ৪র্থ তলা থেকে ফেলে স্বামী তাজুল ইসলাম(৪৫) কে হত্যার অভিযোগে তৃতীয় স্ত্রী রেজিয়াকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেশারপাড় জমাদার বাড়ি নিবাসী তাজুল ইসলাম পেশায় একজন অটোরিকশা বিক্রেতা।তিনি ৪৫ বছর বয়সে মোট তিনটি বিয়ে করেছেন।দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী মামলা করে,সেই মামলায় তাজুল ইসলাম বেশ কিছুদিন কারাবরণও করেছেন।
এক পর্যায়ে প্রথম স্ত্রী একটি পুত্র সন্তান রেখে তাজুলকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করে ঘর সংসার করেছেন।তাদের সে পুত্র সন্তান এখন অটো চালক।এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারে ২ মেয়ে ও ২ ছেলের জন্ম হয়।
এর কিছুদিন পর তিনি আবার রেজিয়াকে নিয়ে তৃতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।এ সংসারেও একটি ছেলে ও একটি মেয়ের গর্বিত পিতা হন তিনি।কানকিরহাট বাজারে ব্যাটারী চালিত একটি অটো রিক্সার ব্যবসা করার সুবাধে তৃতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কানকিরহাট আরএস টাওয়ারে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন তিনি।
অল্প আয়ের ব্যবসা আর বিলাসী জীবন নিয়ে অনেক টাকা দেনা হয়ে যান।এই দেনা পাওনার হিসেব নিয়ে সংসারে ঝগড়া বিবাদ ও পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো।
গত ২৮ অক্টোবর ভোর রাতে সে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে গুরুত্বর আহত হয়।সে নিজে পড়ে আত্মহত্যা করেছে নাকি তার স্ত্রী ছাদ থেকে ফেলে তাকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত করা যায় নি। গুরুত্বর আহত তাজুকে তার পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল (পিজি) হাসপাতালে নেয়।
কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে সেখানে ভর্তি না করে ডাক্তার দেখিয়ে আবার কানাকিরহাট আরএস টাওয়ারের বাসায় নিয়ে অাসেন।এ সময় তার তৃতীয় স্ত্রী ঘরের দরজা খুলেনি এবং তাদের ঘরে প্রবেশ করতে দেয়নি। একপর্যায়ে তাজুর শারিরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত পুরনায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল (পিজি) হাসপাতলে নিয়ে যায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।
৩১ আক্টোবর নামাজে জানা শেষে রাতে তার মৃত দেহ দাফন করা হয়।তার মেয়ে নুর নাহার ঝিনু সেনবাগ থানায় অভিযোগ করলে ৩১ অক্টোবর বিকেলে এসঅাই নুর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ আরএস টাওয়ার থেকে তাজুল ইসলামের তৃতীয় স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর এটি হত্যা না আত্মহত্যা পুলিশ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।উক্ত বিষয়ে কোন মামলা দায়ের না হওয়ায় তৃতীয় স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে ফিপটি ফোরে কোর্টে চালান করে দিয়েছে সেনবাগ থানা পুলিশ।