নোয়াখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ,পুলিশের গুলি,আটক ৩
মোঃ ফখর উদ্দিন,নোয়াখালী প্রতিনিধি-ঃ
নোয়াখালীতে অাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ,পুলিশের গুলি,আটক
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নদনা ইউনিয়নে মুখোশধারীদের হামলায় মো. ইউছুফ আলী নামে যুবলীগের এক নেতা আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুটি গ্রামের লোকজন।সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১১জন আহত হয়েছেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে ও তিনজনকে আটক করে।সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
রবিবার রাত নয়টার দিকে নদনা বাজারে ইউছুফ আলীর ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।আহত ইউছুফ আলী দক্ষিণ শাকতলা গ্রামের মোজাফর আলী জমাদার বাড়ির ছায়েদ আলীর ছেলে। তিনি নদনা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।আটককৃতরা হলেন, উত্তর শাকতলা গ্রামের সায়দুল হকের ছেলে ইয়াছিন ফারুক বাবু, একই এলাকার মহিন উদ্দিনের ছেলে নাছির উদ্দিন নিরব এবং রশিদ আলমের ছেলে আবুল বাশার সেজাদ।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইলে রিচার্জ করার জন্য ইউছুফ নদনা বাজারের অগ্রণী ব্যাংক এলাকার শান্ত সবুজ এন্ড ভ্যারাইটিজ স্টোরে আসেন। এ সময় একদল মুখোশধারী ইউছুফের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।হামলার খবর দক্ষিণ শাকতলা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রামের লোকজন নদনা বাজারে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষকারীরা পাল্টাপাল্টি বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
নদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তর ও দক্ষিণ শাকতলা গ্রামের কিছু বখাটে যুবক প্রায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসব ঘটনার জের ধরে কয়েকজন মুখোশধারী যুবক নদনা বাজারে এসে ইউছুফকে কুপিয়ে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও পরিস্থিতি অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সামাদ বলেন, যুবলীগ নেতা ইউছুফের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সংঘর্ষকারীরা পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের দু’টি ভ্যানের ক্ষতি হয় ও তছলিম নামের এক কনস্টেবল আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৮রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।