গো-ঘরে পরিনত হয়েছে প্রাধনমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্প।
মোঃ খোকা, মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি-(পটুয়াখালী)
গো-ঘরে পরিনত হয়েছে প্রাধনমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্প।
দীর্ঘ সাড়ে চার(০৪) বছরেও বন্টন হয়নি পটুয়াখালী জেলার, মির্জাগঞ্জ উপজেলার ১নং মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আশ্রায়ন বাস্তবায়ন সংস্থা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৩৫ টি ঘর। ঘরগুলো রাতের অন্ধকারে মেতে উঠে বেপরোয়া আড্ডায়।দিনের আলোতে মেতে উঠে তাসের আড্ডায়।
প্রকাশ থাকে যে,উক্ত প্রকল্পের নির্মান কাল ছিলো ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর।বাংলাদেশ নৌবাহিনী খুলনা জেলা কন্টিনজেন্ট এর তত্বাবধানে ঘরগুলো নির্মান করা হয়েছিলো।নির্মান কাজ শেষ হলে ২০১৬ সালের শুরুর দিকেই ইউএনও অফিসে তালাবদ্ধ ঘরগুলোর চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আবাসনের ৩৫ টি ঘর দুইভাগে-দু স্থানে রয়েছে। রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে একাংশ(২০)টি এবং রামপুর আজহার হাওলাদারের বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে
অন্যাংশ(১৫)টি ঘর রয়েছে।
তালাবদ্ধ ঘরগুলো এখন আর তালাবদ্ধ নয়। ঘরগুলো যদি এখন বন্টন করা হয়ও তাহলে নেই তার ভিতরে বসবাস করার মতো অবস্থা। দীর্ঘ দিনে বন্টন না হওয়ার কারনে ঘরগুলো পরিনত হয়েছে গো-ঘরে। ঘরের কাচের তৈরি জানালাগুলোর কাচের নেই কোনো অস্তিত্ব।তাসের আড্ডায় বসা লোকজন এবং সাধারন পথচারীদের শৌচাগার পরিনত হয়েছে ঘরগুলো।
ঘরগুলো কেন বন্টন হচ্ছে না,কী আছে এর পিছনের রহস্য?এরকম শত প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের অন্তরে। তাদের শত প্রশ্নের উত্তর তারা একটাই মনে করেন–ঘর ৩৫ টি আবেদনকারীর সংখ্যা শতের অধিক পরিবার যারা সকলেই দালালদের কাছে অর্থ হস্তান্তর করেছেন। এখন যদি ঘরগুলো বন্টন করা হয় তাহলে ক্ষমতাশীল দালালরা পরে যাবে হুমকির সামনে। তাই তারা ঘরগুলো বন্টন হতে দিচ্ছে না।
এমতাবস্থায়, এলাকাবাসীর একটাই দাবি ঘরগুলো যারা-ই পায় যেন তারা পাওয়ার যোগ্য হয় এবং বন্টনের আগে যেন ঘরগুলো পুননির্মাণ করে বন্টন করা হয়।