পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন; সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে জল্পনা শুরু।
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন; সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে জল্পনা শুরু।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচন’২০ আগামী ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফায় ১০ টি উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চেয়ারম্যান পদে এ তফসিল ঘোষণার পরপরই উপনির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই শুরু করেছেন গণসংযোগ। তবে করোনাকালীন সময়ের এ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া নেই বললে চলে। কারণ হিসাবে বিগত নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের যে অভিজ্ঞতা বা ক্ষোভ রয়েছে তার প্রতিফলন আবারও ঘটতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তবে যেহেতু উপনির্বাচন সেহেতু স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা মুলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে অনেকেই মনে করেন। আর সে ক্ষেত্রে নির্ভয়ে ভোট প্রদানের নিশ্চয়তাও আশা করেন তারা।
জানাযায়, উপজেলার
১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে পাইকগাছা উপজেলা গঠিত। গত ৩১ মার্চ ২০১৯ তারিখে উপজেলা নির্বাচনে গাজী মোহাম্মদ আলী আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। উক্ত নির্বাচনে একই দলের ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরপর গত ১৭ জুলাই ২০২০ তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যান করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়। এরপর পরই শুরু হয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও উপ-নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা। অনেকে শুরু করেন জনসংযোগ। বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে গিয়ে নিজের অবস্থান জানান দেন মনোনয়ন প্রত্যাশীর অনেকে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশা করে জনসংযোগ অব্যাহত রাখেন। এর মধ্যে উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশিদুজ্জামান, বর্তমান উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইকবাল মন্টু, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, জেলা অা’লীগ নেতা আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও আ’লীগ নেতা সমীরণ সাধু, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস ও সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি এ্যড. আবুল কালাম আজাদ ও ইউপি চেয়ারম্যান কে এম অারিফুজ্জামান তুহিন।
এদিকে উপনির্বাচনে বিএনপি ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চায় বলে দলীয় একাধিক সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এমতাবস্থায় ব্যাক্তি ইমেজ বা দলের ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানাগেছে। বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান, ক্লিন ইমেজের সৎ ও উদীয়মান তরুণ রাজনীতিক, এস এম এনামুল হক, বিএনপি নেতা ডাঃ অাব্দুল মজিদ ও শাহাদাত হোসেন ডাবলুর নাম শোনা যাচ্ছে।
অনেকেই ইতোমধ্যে উপ-নির্বাচন নিয়ে শুরু করেছেন গণসংযোগ। কেউ কেউ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মতবিনিময় সভা ও সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছেন। যারা পদ-পদবীধারী তাদের অনেকেই পদ হারানোর ভয়ে প্রকাশ্যে প্রার্থী ঘোষণা না দিলেও চেয়ে আছে উপর মহলের দিকে। অনেকে বলছে, দলীয় প্রতীক পেলে নির্বাচন করবেন তারা। কেউ কেউ অনঢ় রয়েছে নির্বাচনের জন্য। এদিকে উপজেলা বি এন পি’র অাহবায়ক ডাঃ অাব্দুল মজিদ জানিয়েছেন, অামরা এ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবো। কাকে প্রার্থী দিবে এ ব্যপারে কথা হলে তিনি বলেন, দল যাকে মনোনয় দিবে সেই প্রার্থী হবে। তবে অামি ডাঃ মজিদ, শাহদাৎ হোসেন ডাবলু, এবং এস, এম, এনামুল হকের মধ্যে যে কেহ মনোনয়ন পেতে পারি। সে ক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কাজ করবো। এদিকে বিএনপির তৃনমুল নেতা কর্মিরা বলছেন সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক ঘূর্নিঝড় বুলবুল, অাম্ফান ও করোনা মোকাবেলায় যে ভাবে নিজের জীবন বাজী রেখে মোকবেলা করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে সাধারন মানুষের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দিলে এবং যদি স্বচ্ছ নির্বাচন হয় তাহলে বি এনপির প্রার্থী হিসাবে এনামুলের কোন বিকল্প নেই।