বগুড়া-নওগাঁ ১০ কিলোমিটার মহাসড়কে চলাচলে দুর্ভোগ।
বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘি উপজেলার মুরইল বাসস্ট্যান্ড থেকে সান্তাহার পশ্চিম ঢাকারোড পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে শতশত খানাখন্দক ও বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিনই ঘটছে দূর্ঘটনা কেউ হারাচ্ছেন স্বজন আবার কেউ বা বরণ করছেন পঙ্গুত্ব। প্রায় তিন মাস আগে বগুড়ার থেকে আদমদীঘি হয়ে পশ্চিম ঢাকারোড পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মানের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হলেও মুরইল বাস্ট্যান্ড থেকে পশ্চিম ঢাকারোড পর্যন্ত তিন বছর যাবত কাজ না করে ঝুলে রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানাযায়, ২০১৭ সালে একনেকে পাস হওয়া বগুড়া নওগাঁ-মহসড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২শ’ কোটি টাকা।
তিন’বছর আগে দরপত্রের মাধ্যমে সড়ক উন্নয়নের কাজটি সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব পায় তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বগুড়া থেকে দুপচাঁচিয়া পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করেন।
কিন্তু অবশিষ্ট অংশের কাজ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আজও সম্পন্ন করতে পারেনি। ফলে আদমদীঘি উপজেলার মুরইল বাসস্ট্যান্ড থেকে সান্তাহার পশ্চিম ঢাকারোড পর্যন্ত ১০কিলোমিটার সড়ক সম্পন্নরুপে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এছাড়া গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় ওই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২ কোটি টাকা জরিমানা গুনতে হবে। সেই সাথে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি বাতিলের জন্য গত ২১জুলাই সুপারিশ করা হয়েছে বলে সুত্রটি জানান।
বর্তমানে মুরইল বাসস্ট্যান্ড থেকে আদমদীঘি সদর, ইন্দইল, বড়আখিড়া ও বশিপুর হয়ে পশ্চিম ঢাকারোড পর্যন্ত সড়কে শতশত খানাখন্দকে ভরপুর হয়ে কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে যানবাহনসহ জনসাধারনের চলাচলে মারত্বক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহি প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কারণে মূলত সড়ক উন্নয়নের কাজ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বাতিল হলে নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অথবা নিজস্ব ম্যাটেরিয়ালস ও জনবল দিয়ে সড়কটির কাজ সম্পন্ন করা হবে।