জেলার খবর

মোঃ বরজু মিয়া, তিনি ১৯৭১ সালে রায়পুরা থানার কোহিনূর জুটমিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। তিনি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা।

সাদ্দাম হোসেন রাজ, নরসিংদী প্রতিনিধি-ঃ

মোঃ বরজু মিয়া, তিনি ১৯৭১ সালে রায়পুরা থানার কোহিনূর জুটমিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। তিনি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা।

মোঃ বরজু মিয়া, গেজেট নাম্বার ৯৪৯, তার পিতাঃ সোনা মিয়া, মাতাঃ সখিনা খাতুন, গ্রাম নামঃ বীরশ্রেষ্ট মতিউর নগর।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমি রায়পুরা থানার কোহিনূর জুটমিলে শ্রমিকের কাজ করতাম। তখনকার সময় শ্রমিকরা ছিল আওয়ামী লীগের বড় হাতিয়ার। যে কোনো আন্দোলন বা সংগ্রামে তারা আওয়ামী লীগের পাশে থাকত।

১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইযুর খান যখন শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত মামলার বিচার শুরু করেন। তখন শ্রমিকরা মিল কারখানা বন্ধ করে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে জেল থেকে মুক্ত করে এনেছিল।

১৯৭০ সালের পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের সময় মিলের শ্রমিকরা আওয়ামী লীগের পশে জোরালো ভাবে প্রচার ও ভোট দিয়ে তাদের বিজয়ী করেছিল।

০৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু মির্দেশনা মোতবেক আমার মিল এলাকার রাস্তা কেটে ব্যারিকোড সৃষ্ঠি করে ছিলাম। তার কয়দিন পরই মিল বন্ধ হয়েগেল। তখন আমি গ্রামের বাড়িতে অবস্হান করছিলাম।

জুন মাসের দিকে সেনাবাহিনী বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে বাড়িঘর লুটপাট ও যুবক ছেলেদের জোর করে ধরে আনে।

তিনি আরে ববলে রামনগর যুদ্ধঃ পাকিস্হানি সেনারা ব্রশপুক্র নদের পূর্বপাড়া ভৈরব বাজারে অবস্হান করছিল। মুক্তিযোদ্ধারা অবস্হান করছিল নদীর পশ্চিমপাড় রামনগর গ্রামে। মাঝখানে ছিল একটা ভাঙ্গা ব্রিজ। একদিন শক্ররা গোপনে ভাঙ্গা ব্রিজ পার হয়ে নদীয় পশ্চম পাড়ে আসতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপন ওসাহসী আক্রমনে পাকিস্হানি সেনাদের অগ্রযাত্রি রুদ্ধ হয়ে যায়। তারপর আর ও বেশ কিছু ছোট ছোট যুদ্ধে অংখ গ্রহন করার পর ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button