উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী নেতা কিম জং উনের মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছে হংকং স্যাটেলাইট টিভি। এর আগে তার শরীর যে ভালো যাচ্ছে না, দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে সে খবর ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বেই। তবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখলেও আপাতত কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউজ। কিন্তু, কিম-পরবর্তীতে পিয়ংইয়ংয়ে প্রভাব বিস্তার নিয়ে ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হওয়া যে সময়ের অপেক্ষা, তা কার্যত স্পষ্ট। সম্প্রতি যা সত্য বলেই জানিয়ে দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন সেনাকর্তা চুন ইন-বাম। খরব এই সময়।
মার্কিন মিলিটারি টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ কোরিয়ার স্পেশাল অপারেশনসের প্রাক্তন প্রধান বলেন, ‘কিমের পর উত্তর কোরিয়াকে কেন্দ্র করে পরমাণু-যুদ্ধ দেখা দিতে পারে।’ প্রাক্তন সেনাকর্তার আশঙ্কা, কিম-পরবর্তী উত্তর কোরিয়ায় ‘আমেরিকা ঢোকার চেষ্টা করবেই।’ শুধু তাই নয়, ‘চীনও পিছিয়ে থাকবে না’ বলে মনে করেন তিনি। যার ফল হিসেবে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরিস্থিতি’র আশঙ্কা করেছেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব খর্বের চেষ্টা মোটেই আমেরিকা-চীন ‘কারোর জন্যই সুখকর হবে না’ বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
কিম-পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ে পড়শি দক্ষিণ কোরিয়া যে বেশি ‘উৎসাহ’ দেখাচ্ছে, তা স্বীকার করেন প্রাক্তন সেনাকর্তা। তার আশঙ্কা, ‘এর ফলে পরমাণু যুদ্ধ হতে পারে।’
একই ধারণা অন্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদেরও। ডেইলি মেইলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন মার্কিন কর্নেল ডেভিড ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘কিম জং উনের পর উত্তরসূরি বাছাই নিয়ে উত্তর কোরিয়ায় তুমুল অশান্তি দেখা দিতে পারে।’ সব মিলিয়ে জল্পনার কেন্দ্রে কিম জং উন। বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন।