প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সাংবাদিকদের করোনাকালীন সহায়তার চেক বিতরণ ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল।
রনজিত কুমার পাল (বাবু) স্টাফ রিপোর্টার-ঃ
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সাংবাদিকদের করোনাকালীন সহায়তার চেক বিতরণ ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মানণীয় কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে।
করোনার দুর্যোগ চলছে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বন্যার দুর্যোগও চলছে। তারপরও আশা করা যায়, যে পরিমাণ খাদ্যশস্য বর্তমানে মজুদ রয়েছে, তাতে বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো সমস্যা হবে না।
আজ শুক্রবার (১৪ই আগষ্ট-২০২০ খ্রীস্টাব্দ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত করোনাকালীন সহায়তার চেক বিতরণ ও বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সাংবাদিক ও মিডিয়াবান্ধব। যে কারণে করোনার এই দু:সময়েও অসচ্ছল সাংবাদিকদের সহযোগিতায় শেখ হাসিনার সরকার এগিয়ে এসেছে, পাঁশে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও সাংবাদিকদের পাশেই শেখ হাসিনা থাকবেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, এদেশের প্রায় প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে সাংবাদিকরা সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, সামনের কাতারে ছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করছে।
ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, স্বদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, ডিইউজের যুগ্ম-সম্পাদক খায়রুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার সম্পাদক আছাদুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী সোহেল প্রমুখ।
দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাব এডিটরস কাউন্সিল নেতা জাওহার ইকবাল খান।
কৃষি খাতে সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে প্রায় ৭ কোটি মানুষ ছিল আর এখন ১৬ কোটির উপরে।
স্বাধীনতার পর মাথাপিছু জমি ছিল ২৮ শতাংশ, যা কমতে কমতে এখন হয়েছে ১০ শতাংশ। তারপরও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, এ বছর ইন্দোনেশিয়াকে টপকে চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কৃষিবান্ধব এ সরকারে প্রচেষ্টায়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
বিদেশিদের সব অনুমান মিথ্যা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন, বাংলাদেশ কোনো দেশের উপর সাহায্য নির্ভর দেশ নয়। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। বিদেশি সাহায্য কমতে কমতে এ বছরের বাজেটে মাত্র ২ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে।