সেনবাগে শিক্ষার ক্ষেত্রে ও মানব সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্হাপন কামাল উদ্দিন মিয়াজির।
মোঃ ফখর উদ্দিন,নোয়াখালী প্রতিনিধি-ঃ
সেনবাগে শিক্ষার ক্ষেত্রে ও মানব সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্হাপন কামাল উদ্দিন মিয়াজির
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নিঃস্বার্থ মানবসেবা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে দীর্ঘ ৮ বছর যাবত নিরলস শ্রম ও অর্থ প্রদান করে মানব সেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মিয়াজী।তিনি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের কৃতি সন্তান এবং ঐ গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আজিম উদ্দিনের সুযোগ্য পুত্র।
ব্যক্তিজীবনে মোঃ কামাল উদ্দিন মিয়াজী একাধারে একজন সফল প্রবাসী ব্যবসায়ী,সমাজ সেবক, দানবীর ও শিক্ষানুরাগী। তিনি সেনবাগের শের -ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় বহুতল বানিজ্যিক ভবন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, ঢাকার তেজগাঁও রেলওয়ে জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা, ফেনী সোনাগাজীর দারুল উলুম আল হোছাইনিয়া মাদ্রাসা এবং নোয়াখালীর সেনবাগ নবীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য ও
ঢাকাস্থ নোয়াখালী জেলা সমিতির আজীবন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি জানান, মানব সেবা করতে কোন পদ-পদবীর প্রয়োজন নেই। সেবা করার চিন্তা ভাবনা ও ভালো মন মানসিকতাই যথেষ্ট।
নিজ জন্মভুমি মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন ও সেনবাগের মানুষের প্রতি তার প্রগাঢ় ভালোবাসার কারনেই দীর্ঘদিন যাবত তিনি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গরীব দুঃখীদের পাশে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন,বারবার নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে মানুষের হৃদয় মাঝে স্থান করে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পদপদবীর বাহিরে থেকেও সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে তিনি দীর্ঘদিন যাবত সমাজসেবা করে আসছেন।মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মিয়াজী ২০১৩ সালে তৎকালীন সেনবাগের ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্ল্যার মাধ্যমে নিজ অর্থায়নে ১০ জন হতদরিদ্রকে ১০ টি রিক্সা প্রদান ও শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির ৩০ জন হতদরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর পুরো বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস প্রদান করেন।
২০১৪ সালে শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ জন ও মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০ জন হতদরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর পুরো বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস প্রদান, শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য নিজ অর্থায়নে ১ টিউব ওয়েল বসানো এবং বিভিন্ন শ্রেণি কক্ষের জন্য ১২ টি সিলিং ফ্যান প্রদান করেন।
২০১৫ সালে শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের
৩০ জন হতদরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর পুরো বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস প্রদান করেন।
২০১৬ সালে শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন হতদরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর পুরো বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস প্রদান, ৩৫ জন হতদরিদ্র জেএসসি পরীক্ষার্থীর ফিস ও ফরম ফিলাপের টাকা প্রদান করেন।
২০১৭ সালে শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০ জন হতদরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর পুরো বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস প্রদান, ৫০ জন হতদরিদ্র জেএসসি পরীক্ষার্থীর ফিস ও ফরম ফিলাপের টাকা প্রদান করেন।২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৭ জন ছাত্র ছাত্রীকে গোল্ড মেডেল,রৌপ্য মেডেল,ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান ও ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কক্ষের জন্য ১০ টি স্টীল ফোমের চেয়ার প্রদান করেন তিনি।
২০১৮ সালে শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৩ জন হতদরিদ্র জেএসসি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার ফিস ও ফরম ফিলাপের টাকা প্রদান। ২০১৭ সালে শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় হতে কৃতকার্য হওয়া ১৭২ জন ছাত্র ছাত্রী ও নবীপুর উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি তে কৃতকার্য হওয়া ৮৯ জন ছাত্র ছাত্রীকে গোল্ড মেডেল , রৌপ্য মেডেল, ক্রেষ্ট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।পাশাপাশি ২ টি বিদ্যালয়ের ঐ অনুষ্ঠান গুলোতে উপস্থিত সকল অতিথিদেরকেও ক্রেষ্ট প্রদান করেন তিনি।
২০১৯ সালে নবীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্বাচিত স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট এর ৮ জন সদস্য, মোহাম্মদ পুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ জন সদস্য ও শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ জন সদস্যকে মেডেল প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদান করেন এই শিক্ষাুনুরাগী। নবীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হিসেবে বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন কাজের জন্য নগদ ২ লক্ষ টাকা বিদ্যালয় ফান্ডে প্রদান করেন।নোয়াখালীর সদরে মাইজদী মডেল স্কুলে আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।দক্ষিণ রাজারামপুর হোসেন আলী মিঁয়াজী বাড়ী জামে মসজিদে কোন প্রকার চাঁদা কালেকশন ছাড়াই সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেন।
২০২০ সালে চলমান মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতংকে ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড ও ৮ নং বীজবাগ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের গৃহবন্দী কর্মহীন অসহায় মোট ৪৫০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেটে উনার মালিকানাধীন ২ টি দোকানের ভাড়াটিয়াদের এপ্রিল ও মে মাসের দোকান ভাড়া মওকুফ করে দেন এই সমাজসেবক,শিক্ষানুরাগী, দানবীর মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মিয়াজী।