বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর এ মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬২১ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার ১৪৮ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭০৪ জন। বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৪৪ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে, ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার ৪১০ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে।
আর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৯১৭ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৭ জন। এছাড়া নতুন করে মারা গেছে ৫৮ জন এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৭ হাজার ৭৩৭ জন। মৃতের সংখ্যায় ব্রাজিলের পরেই আছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫ হাজার ৭৫৯ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১১১ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দেশটিতে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৩৩ জন এবং এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৮৪ হাজার ১৩৬ জন। নতুন করে মারা গেছে ১৩ জন এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৩ হাজার ৪৬১ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত ৮ লাখ ১৮ হাজার ১২০ জন। আর মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৫৪ জন। মৃত্যুর দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে মেক্সিকো। দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৩ জন এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৯ জনের। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩৪২ জনের। এছাড়া মোট মৃতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ২২ জন।
মৃত্যুতে পঞ্চম স্থানে আছে ইটালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ১১২ জন এবং আক্রান্ত ২ লাখ ৪৬ হাজার ২৮৬ জন। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।