জেলার খবর

যশোর মণিরামপুরে কঠিন সময় পার করছেন সাউন্ড সিষ্টেম ডেকোরেশন এর ব্যাবসায়ীগন।

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় প্রতিনিধি-(খুলনা)

যশোর মণিরামপুরে কঠিন সময় পার করছেন সাউন্ড সিষ্টেম ডেকোরেশন এর ব্যাবসায়ীগন।

করোনা ভাইরাস মহামারীতে
সারাদেশে অফিস আদালত সীমিত পরিসরে খুললেও সভা,সমাবেশ বিয়ে সাদী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় সাউন্ড সিস্টেম লাইটিং ডেকোরেশন গুলি ব্যবহার হচ্ছে না বললেই চলে।

এমন পরিস্থিতিতে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীগন এবং সংসারে নেমে এসছে অভাব অনটন
খুবই সমস্যার মধ্যে দিন পার করছেন এসমস্ত ব্যাবসায়ীগন করোনা বিস্তাররোধে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন মাইক ও সাউন্ড সিষ্টেম লাইটিং ব্যবসায়ীরা
গোডাউনে পড়ে থাকা তাদের ইলেকট্রনিকস সামগ্রীতে মরিচা ধরে যাচ্ছে।

অনেক ব্যাবসায়ী দোকান বন্ধ করে বাড়িতে বেকার অবস্থায় জিবন যাপন করছেন লক্ষ লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি গোডাউনে থেকেও তাদের নাই কোন ব্যাবসা বাণিজ্য এমন মহামারিতে কিছু যন্ত্রপাতি বিক্রি করে কিছু ধার দেনা মেটাবে সে উপায় ও নাই তাদের।

গ্রাম অঞ্চলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান সামাজিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ও বিবাহ অনুষ্ঠানে মাইক ভাড়া দিয়ে গেট তৈরি করে লাইটিং করে সাউন্ড সিষ্টেম দিয়ে চলত তাদের সংসার মার্চ মাস থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষনার পর থেকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্য সব ব্যবসা অফিস আদালত খুললেও শুরু হয়নি মাইক ও সাউন্ড সিষ্টেমের ব্যবসা
ব্যবসায়ীদের ঘরবন্দি থেকে আয় রোজগার বন্ধ হওয়ায় গোডাউন ভাড়া, বিদ্যুৎ বিলের টাকা গুনতে হচ্ছে মাসের পর মাস।

মণিরামপুর বাজারের এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী মোঃ লুৎফর রহমান বিল্লাল মাইক এর সত্তাধিকারী জানায়,গত দুই তিন মাস শুধু বিদ্যুৎ বিল আর ঘর ভাড়ায় দিয়ে যাচ্ছি,একটি টাকা আয় করতে পারিনি গোডাউনে প্রায় ৭০-৮০ লাখ টাকার মালামাল পড়ে রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাড়া দিয়ে কর্মচারির বেতন দিয়ে অনেক লাভ থাকতো, কিন্তু হটাৎ করে মহামারি আসায় কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি

জানিনা কবে আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করবো,আর ততোদিনে এভাবে চলতে হবে মণিরামপুরের সাউন্ড সিস্টেম লাইটিং ডেকোরেশন এর ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে সহযোগীতার কামনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button