জেলার খবর

টিকটক করতে গিয়ে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক ভোল্টেজের আগুনে জ্বলছে গেছে ফতুল্লার অনিক নামে এক যুবক।

সাহাদাৎ হোসেন শাহীন, জেলা প্রতিনিধি- (নারায়ণগঞ্জ)

টিকটক করতে গিয়ে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক ভোল্টেজের আগুনে জ্বলছে গেছে ফতুল্লার অনিক নামে এক যুবক।

ইতিপুর্বে আরও দু’টি দূর্ঘটনা, প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়নি মালিক ও ডেসা!

নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে বাড়ির ছাদে টিকটক করতে গিয়ে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক ভোল্টেজের আগুনে জ্বলছে গেছে ফতুল্লার অনিক নামে এক যুবক।

গতকাল শুক্রবার (১০জুলাই) বিকেল ৬টায় ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকার বিল্লালের বাসার ছাদে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। আগুনে জ¦লসে যাওয়া অনিক একই এলাকার মোঃ মিজানুর রহমানের ছেলে ।

অনিকের নানী শিল্পী দূর্ঘটনা সম্পর্কে বলেন,আমাদের বাসার কাজ ধরায় চলতি মাসে আমরা এ বাসায় ভাড়াটে হিসেবে ২য় তলায় উঠি। সকালে নাতি অনিক (১৬) বেড়াতে আসে। বিকেলে দুই মামা সাব্বির ও বাঁধনকে নিয়ে ছাদে যায়। তার কিছুক্ষন পরে একটি বিকট শব্দ ও ছেলেদের চিৎকারের ডাকে ছাদে গিয়ে দেখে পাশের বিল্লালের বাসার ছাদে নাতি অনিক আগুনে জ্বলছে।

অনিকের নানা বলেন,আমার নাতি ছাদে আগুনে পুড়ছে কত মানুষ তা দাঁড়িয়ে দেখছে অথচ কেউ তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। আমি নিজে অনেক চেষ্টার পর বৈদ্যুতিক তারের নিচ দিয়ে গিয়ে অনিককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আমার নাতির পুরো শরীরটা পুড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে,বিকেলে টিকটক করতে গিয়ে সাহাবুদ্দীন সাহেবের বোন রেনুর বাসার ছাদ থেকে হঠাৎ বিল্লালের বাসার ছাদের ৩৩ কেভি ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক সর্টে আগুন লেগে যায় অনিকের। তারপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তারা আরো জানায়,এর মাসখানেক আগেও বিল্লালের বাসার এক ভাড়াটের ১০ বছরের শিশু একি ছাদে বৈদ্যুতিক সর্টে আগুন লেগে মারা যায়। এর দেড় মাস আগে আরেকটি শিশু ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বৈদ্যুতিক সর্টে আগুন লেগে একটি হাত হারায়। পরপর এই নিয়ে ৩টি দূর্ঘটনা ঘটলো কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ও বিদ্যুৎ অফিস থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ওই বাসার মালিকের বিরুদ্ধে। বাসার মালিক জানেন এই বৈদ্যুতিক তারটি ৩৩ কেভি ভোল্টেজের তারপরও প্রায় ২/৩ ফুট রেখে ছাদটি করেছে।

এ সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত অনিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে গুরুত্বর অবস্থায় আসে। ঢাকা এখন পর্যন্ত কিছু বলতে পারেনি। অনিকের শরীরের বেশিরভাগ আগুনে জ্বলছে গেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button