মনিরামপুর গরু খামারিতে ব্যাবসয়ী ও দর্শনার্থীদের ভীড়,যেমন নাম তেমন দাম।
আবদুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় প্রতিনিধি-(খুলনা)
মনিরামপুর গরু খামারিতে ব্যাবসয়ী ও দর্শনার্থীদের ভীড়,যেমন নাম তেমন দাম।
আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠেছে মণিরামপুরের ‘বাংলার বস ও সম্রাট’। এদিকে তাদের নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন যশোরের মণিরামপুরের খামারি আসমত আলী গাইন। তিনি দুটি ষাঁড়ের নাম রেখেছে বাংলার বস ও বাংলার সম্রাট। নাম যেমন দামও তেমন। খামারি আসমত তাদের দাম হাঁকিয়েছেন ৮০ লাখ টাকা। আর বাংলার বস ও বাংলার সম্রাটকে দেখতে প্রতিদিনই খামারে ভিড় করছেন উৎসক ব্যাপারী ও দর্শণার্থীরা। মণিরামপুর উপজেলার হুরগাতি গ্রামের খামারি আসমত আলী গাইন জানান, বড় হাতির সমান ‘বাংলার বস’ এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। ব্যাপারীরা ৩০ লাখ পর্যন্ত দাম উঠিয়েছেন। আর বাংলার সম্রাটের দাম ৩০ লাখ টাকা চাইলেও ব্যাপারীরা দাম বলেছে ১৫ লাখ টাকা। আসমত আলীর দাবি, এ বছর কোরবানিতে এর চেয়ে বড় গরু আর পাওয়া যাবে না। কোরবানির আগে গরু দুটি ঢাকায় নিতে পারলে আশানুরুপ দামেই বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরো জানান, ২৫ বছর ধরে তিনি গরু পালন করছেন। মীম ডেইরি ফার্ম নামের খামারে তিনি গাভী পালন করে আসছেন। গতবছর কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে যশোর হাইকোর্ট মোড়ের খামারি মুকুলের কাছ থেকে ‘বাংলার বস’ নামে গরুটিকে ১৭ লাখ টাকায় কেনেন। আর ‘বাংলার সম্রাটকে কেনেন ৮ লাখ টাকায়। এরপর সুষম খাদ্য, উপযুক্ত চিকিৎসা, নিয়মিত পরিচর্যা শুরু করেন। গরু দুটির দিনে দু’বার মোট ৮০ থেকে ৯৫ কেজি খাদ্য খাওয়ানো হয়। আসমত আলী গাইন আরও জানান, বাংলার বস নামে গরুটি ফ্রিজিয়ান জাতের। বর্তমানে তার ওজন ২৬’শ কেজি অর্থাৎ প্রায় ৬৫ মণ। আর সম্রাটের ওজন ২ হাজার কেজি অর্থাৎ ৫০ মণ। তিনি বলেন, করোনার কারণে ব্যাপারীরা সঠিক দাম বলছে না। ফলে গরু দুটি বিক্রির জন্য ঢাকায় নিয়ে যাবেন। আশানুরুপ দাম না পেলে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিক্রি করবেন। কারণ তার গরু প্রাকৃতিক উপায়ে পালন করা।