খুলনা যশোরে সাস্থ্যবিধি সামাজিক শারীরিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না যানবহনে।
আবদুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় প্রতিনিধি-(খুলনা)
খুলনা যশোরে সাস্থ্যবিধি সামাজিক শারীরিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না যানবহনে।
কিছুদিন মানার পর এখন স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে যশোরের ইজিবাইক, থ্রিহুইলার ও বাসচালকদের। সুযোগ পেলেই আগের মতো গাদাগাদি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছেন চালকরা। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত রেখেচরম ঝুঁকির মধ্যে একজেলা থেকে অন্য জেলায় ছুটছে এসব যানবহন।অন্যদিকে ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ যাত্রীরা।গত সপ্তাহে ইজিবাইক ও থ্রি-হুইলার মোটরযান চালকদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রী নিয়ে চলাচলের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় জেলাপ্রশাসন। ইজিবাইকে তিনজন ও থ্রি-হুইলারে পাঁচজনযাত্রীর বেশি বহন করতে পারবেনা বলে জানানো হয়।
এছাড়া ইজিবাইকের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনারজন্যে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার অনুযায়ীএকদিনদেড় হাজার অন্যদিন দেড় হাজার চলার কথা থাকলেও তদারকির অভাবে তা কার্যকর হয়নি। শহরে মাইকিং হলেও আগের মতোই ইজিবাইকের সংখ্যা দেখা দিয়েছে শহরে।
প্রতিনিয়ত যানজটে নাকাল যশোরের মানুষ। মাঠপর্যায়ে তদারকিনা থাকায়, এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করছেনা চালকরা। তবে ইজিবাইক চালকরা বলছে, প্রশাসনের কথাশুনলে একদিন খেয়ে অন্যদিননা খেয়ে থাকতে হবে। শহরের বিভিন্ন মোড়ে সরেজমিনে দেখাযায়, ইজিবাইক ও থ্রি হুইলার মোটরযান গুলো সুযোগ পেলে তিনজনের বেশিযাত্রী নিচ্ছেন।প্রশাসনের নির্দেশনা এক প্রকারভুলে গেছে সবাই। বেশিযাত্রী নিয়ে ভাড়া আগের চেয়ে বেশি নেয়ায় চালকদের সাথে কথাকাটাকাটি করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
যশোর শহরের চৌরাস্তা, নিউমার্কেট ও মনিরামপুর কেশবপুর বেশিরভাগ ইজিবাইকে চার থেকে পাঁচজন যাত্রী দেখা গেছে। আগের মতো সমান সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পাঁচটাকার স্থলে ভাড়া ১০ ও ১০ টাকার স্থলে ১৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা।
এরআগে করোনা পরিস্থিতে পহেলাজুন থেকে স্বাস্থবিধি মেনে পরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। বাসে এক সিটখালি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনেযাত্রী তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ভাড়াবাড়ানো হয় শতকরা ৬০ ভাগ। কিন্তু নিউমার্কেট ও চাঁচড়ায় যেয়ে দেখা গেছে ভিন্ন পেক্ষাপট। সুযোগ পেলে বাস ভর্তি যাত্রীনিচ্ছে বাসচালকরা। অথচ ভাড়ানিচ্ছে দেড়গুণ বেশি। আবার কিছু জায়গায় দ্বিগুণেরও বেশিভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যশোরের কোনো লোকাল বাসে যাত্রীকে হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে দেখাযায়নি। যে যেমনপারছে তেমনগাড়িতে উঠছে। কাউন্টারে পানি-ডিটারজেন্টযুক্ত একটি বোতল রেখে দেয়া হলেও তারদিকে খেয়াল নেইবাস সংশ্লিষ্ট কিংবাযাত্রীদের। অনেকেইবাসে উঠে মাস্ক খুলতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে কয়েক জন যাত্রী কে জিজ্ঞাসা করলে গরমের কথাবলে এড়িয়ে যানতারা।
যশোর তালিকাভুক্ত ইজিবাইক আছে প্রায়তিনহাজার। যশোরে দিনের পর দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা। এরইমধ্যে সব সেক্টরে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা ঝুঁকিরমধ্যে ফেলে দিতে পারে লাখো মানুষের। সচেতন মহলের দাবি প্রশাসন ও পরিবহন সেক্টর কর্তাদের সমন্বয়ে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি আরো ভয়াভয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।