৪ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে সুবাহকে
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তরুন প্রজন্মের সুপরিচিত গায়ক ইলিয়াস হোসাইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সমালোচিত নায়িকা সুবাহর নামে। মামলার এজাহারে বলা হয় ইলিয়াসকে কিভাবে ফাসিয়ে/ফাঁদ পেতে সুবাহ ইলিয়াসকে বিয়ে করেছেন এবং বিয়ের পর একেরপর এক ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এবং একই সাথে ডিজিটাল মাধ্যমে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও সম্মানহানি করেছেন। এই মামলা হবার পর সুবাহ গত ১৪ই মার্চ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তার আবেদনের ভিত্তিতে তাকে ৬ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তবে এখানেই শেষ নয় আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে সুবাহকে।
এদিকে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ইলিয়াসের স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবাহ এ মামলা করেন। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াত তার জামিন বাতিল করে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এদিন ইলিয়াসের জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে গেল ৩ জানুয়ারি রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজধানীর বনানী থানায় ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সুবাহ। সেখানে তিনি যৌতুক চেয়ে মারধরের অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কাজ চলছে।
ইলিয়াস-সুবহার খবরে মাঝে নতুন খবর বেরিয়ে আসে। সূত্রে জানা গেছে, অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা সুবাহার আরও এক স্বামীর কথা। হাতে এসেছে ২০১৭ সালে সুবহার করা একটি এজাহার পত্র। শাহ হুমায়রা সুবাহার নিজের দায়ের করা গাইবান্ধা থানায় ওই এজাহার পত্রে তিনি মোঃ ইয়াসির আরাফাত নামে এক ব্যক্তিকে নিজের স্বামী পরিচয়ে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গায়ক ইলিয়াস হোসাইনকে বিয়ে করেন মডেল ও অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা। গত বছরের ১ ডিসেম্বর পারিবারিক আয়োজনে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা। বিয়ের এক মাস না পেরুতেই সেই সংসারে ভাঙন শুরু হয়। তাদের সেই দাম্পত্যের দ্বন্দ্ব গড়ায় মামলায়।