পাইকগাছা প্রেসক্লাবে মুসল্লীদের সংবাদ সম্মেলন।
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
পাইকগাছা প্রেসক্লাবে মুসল্লীদের সংবাদ সম্মেলন!
নারী নির্যাতন কারী, প্রতারক, বিশ্বাস ভঙ্গকারী, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মসজিদের ইমাম ও মুসল্লীদের হয়রানি কারী মোবারক সরদারের শাস্তির দাবীতে সোমবার দুপুরে পাইকগাছা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মটবাটী পূর্বপাড়া জামে মসজিদের মুসল্লীরা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার মটবাটী পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ গাজী শতাধিক মুসল্লীদের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্যে বলেন, মটবাটী গ্রামের মৃত তারাই সরদারের পুত্র লম্পট প্রকৃতির, নারী নির্যাতনকারী, প্রতারক, বিশ্বাস ভঙ্গকারী হসাবে মোবারক সরদারকে আখ্যায়ীত লিখিত বক্তব্যে বলেন, মোবারক সরদার একজন প্রতারক। তার পিতা তারাই সরদার ভাই তোবারক হোসেন ভুট্রোর সহিত প্রতারনা করলে তারা মোবারকের নামে একটি মামলা করে।
মোবারেক ২০১৭ সালে কোমল রায় চৌধুরীর স্ত্রী, প্রশান্তের স্ত্রী,জলিল শেখের কন্যা, গোপাল বিশ্বাসের স্ত্রী ও জনৈক বৃষ্টি কে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ। একই বছরে চাঁদখালী ইউনিয়নে গাউছুলের স্ত্রীকে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়। যার নং-৩৪,জিডি নং-২৫০,তারিখ ২২/৬/২০১৭। শুধু তাই নয় মোবারক একজন লীজ ঘের মালিক।
সে হারীর টাকা না দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগে মটবাটী গ্রামের মিজানুর, গিয়াসউদ্দীন, চেচুয়া গ্রামের ইসলাম গাজী তার বিরুদ্ধে মামলাও করে। মোবারেক এতে ক্ষ্যান্ত হয়নি। ২০১৯ সালে হরিদাস কাটি গ্রামের জনৈক তোহুরার সাথে অনৈতিক কার্যকলাপকালে জনতা ধরে গণপিটুনি দিয়ে থানায় দেয়।
এসব বিষয়ে ঐ সময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য মোবারক সরদার মটবাটী পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সেক্রেটারী হলে মুসল্লীরা তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ সহ অপসারন দাবী করে। মোবারক পদত্যাগ না করায় সভাপতি হিসাবে আমি ও ক্যাশিয়ার নজরুল মোড়ল পদত্যাগ করি। একপর্যায় ২৪/৪/২০২০ তারিখে মসজিদের মুসল্লীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা একটি কমিটি করি। সেখানে মোবারকের নাম না থাকায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে ১/৫/২০২০ তারিখে মন গড়াভাবে একটি পাল্টা কমিটি করে সে। আর আমাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার চালাতে থাকে।
অতপর ২৪/৬/২০২০ তারিখে মোবারেক সরদার তার নিজস্ব লোক ছোবান সরদার, লুৎফর মাল, মুনছুর মোড়ল সহ অনেকে মসজিদে যেয়ে ইমাম সাহেবের কাছ থেকে খাতা পত্র কেড়ে নিয়ে মসজিদে তালা মেরে রাখে। মুর্হুতে খবর ছড়িয়ে পড়লে মুসল্লীরা মসজিদে জড়ো হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে মোবারক সরদার ও তার লোকজন মোবারকের বাড়িতে যেয়ে ওঠে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে মসজিদের ইমাম ও মোবারককে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মুচলীকা দিয়ে ছাড়া পাই। মোবারক সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ ও ফেসবুকে প্রচার করেছে।
আমরা মুসল্লী গণ তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্ত পূর্বক মোবারক সরদারের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।