৬৬ বছর বয়সে ১২৯ সন্তানের পিতা, লক্ষ্যে ১৫০!
স্পার্ম ডোনেশনের কাজ করে ৬৬ বছর বয়সে ১২৯ সন্তানের বাবা হওয়ার দাবি করেছেন ব্রিটেনের এক ব্যক্তি! ওই ব্যক্তির নাম ক্লাইভ জোন্স। যাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। খবর- নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
সন্তান ধারণের ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই আছেন যারা বাবা হতে পারেন না। কোনো না কোনো শারীরিক সমস্যা তাদের ইচ্ছা পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই সন্ধান করেন স্পার্ম ডোনারের। যাতে তারা সন্তান ধারণ করতে পারেন। আর ওই সকল ব্যক্তিদেরই সাহায্য এগিয়ে এসেছেন জোন্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৬ বছর বয়সী ক্লাইভ জোন্স গত ১০ বছর ধরে স্পার্ম ডোনেশনের কাজ করছেন। তার এই কাজে তিনি এ পর্যন্ত ১২৯ সন্তানের জৈবিক পিতা হয়েছেন এবং শীঘ্রই আরও ৯ সন্তানের জন্ম হতে চলেছে, যার ফলে তিনি মোট ১৩৮ সন্তানের পিতা হবেন। ক্লাইভ বলেছেন, সংখ্যাটি ১৫০ করার পরে এই কাজকে বিদায় জানাবেন তিনি। তবে কাজটি খুব একটা সহজ কাজ নয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ক্লাইভ আনুষ্ঠানিকভাবে স্পার্ম ডোনার হতে পারেন না, কারণ আমেরিকায় দাতা হওয়ার সর্বোচ্চ বয়স ৪৫ বছর। এ কারণে যারা স্পার্ম গ্রহণ করতে চান, তারা ফেসবুকের মাধ্যমে ক্লাইভের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং তাদের চাহিদা পূরণ করার কথা জানান। বড় কথা হলো এই পরিষেবার জন্য টাকা নেন না ক্লাইভ।
তিনি বলেন, কাউকে সুখ দিয়ে, কারোর সংসার গুছিয়ে তিনি সুখ পান। ৯-১০ বছর আগে সংবাদপত্রে একটি নিবন্ধ পড়ে তিনি এই ধারণাটি পেয়েছিলেন। যখন তিনি দেখেছিলেন যে, সন্তান ছাড়া মানুষকে কত মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।
ক্লাইভের এই কর্মকাণ্ডে সতর্কতা জারি করেছে হিউম্যান ফার্টিলাইজেশন অ্যান্ড এমব্রায়োলজি অথরিটি। প্রকৃতপক্ষে ক্লাইভ তার ভ্যান থেকে শুক্রাণু দানের কাজ চালান। কিন্তু প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ রয়েছে, যে সমস্ত দাতারা শুক্রাণু দানের কাজ করবেন, তারা শুধুমাত্র আমেরিকায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিকের মাধ্যমে তা বিক্রি বা ক্রয় করতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্লিনিকের পরিচালনার মাধ্যমে দাতা এবং গ্রাহক উভয়কেই স্পার্ম দানের প্রভাব এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা যেতে পারে।