বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘পুলিশের লোক যদি ড্রাগ নেয়, পয়সা নেয় বা ব্যবসা করে, তার জন্য শ্রীঘর নির্ধারিত। ড্রাগের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর কোনো যোগসূত্র থাকতে পারবে না।’
আজ শনিবার দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়িতে ডিএমপির আঞ্চলিক পুলিশ লাইনসে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট ফোর্সের ব্যারাক উদ্বোধন শেষে আইজিপি এসব কথা বলেন।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী ড্রাগ নিজে খাবে না। কাউকে কোনো ধরনের সহযোগিতাও করবে না। পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য কোনো অবৈধ অর্থ নেবে না। জিরো করাপশন হবে আমাদের লক্ষ্য। আর ড্রাগ থেকে পয়সা নেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। পরশুদিনও আমরা শ্রীঘরে পাঠিয়েছি।’
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘শরীরে ক্যানসার হলে আমরা যেমন সে অংশটাকে একেবারে নির্দয়-নিষ্ঠুরভাবে শরীর থেকে অপসারিত করি। যদি আমাদের কোনো সদস্য ওই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়, তাকে আমরা ক্যানসার মনে করে পুলিশ নামক শরীর থেকে অবশ্যই নিষ্ঠুর ও নির্দয়ভাবে অপসারণ করব।’
আইজিপি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবচেয়ে কম ক্যাজুয়ালটি নিয়ে আমরা সবাই মিলে যাতে এ দুর্যোগ (করোনা) অতিক্রান্ত করতে পারি, সে প্রত্যাশা করি। আমাদের দেশের সামাজিক অগ্রগতিকে সামনে নিয়ে যেতে হবে। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম, তা চালিয়ে যেতে হবে। এ দায়িত্ব আমাদের সবার। এটা একক কারো দায়িত্ব নয়। আর এ করোনাকালে দেশবাসী সবাই ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পরিধান করবেন। হাত ধোয়ার জন্য দামি স্যানিটাইজার দরকার নেই। নরমাল সাবান দিয়ে হাত ধুলেই হাত পরিষ্কার হয়।’