জাতীয়

সবজির বাজারে স্বস্তি, ব্রয়লার মুরগির ডাবল সেঞ্চুরি

সপ্তাহের ব‍্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কমেছে বেশিরভাগ সবজির দাম। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। বিপরীতে আলু, দেশি পেঁয়াজ ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, খিলক্ষেত বাজার, আজিমপুর কাঁচাবাজার ও হজ্জ ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে বেশিরভাগ সবজির দাম। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৩০-৪০ টাকায়, লম্বা বেগুন ৩০-৫০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ টাকায়, টমেটো ১০০-১২০ টাকায়, মুলা ৩০-৪০ টাকায়, শালগম ৩০-৪০ টাকায়। এছাড়া, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকায়, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩৫-৪০ টাকায়, লাউ ৪৫-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকায়।

কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা।

অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। বাজারে প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০, বিক্রি হচ্ছে রুই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৪০ টাকা। চিংড়ি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। আর দেশি শিং মাছ ৭০০ টাকা কেজি, কৈ ৫০০ টাকা, টাকি মাছ কেজিপ্রতি ২৫০-৩৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা।

বাজারে আলুর দাম মানভেদে ৫ টাকা পযর্ন্ত কমেছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা , দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। বাজারে প্রতি কেজি চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা, মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৬ এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা, প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।

বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলে ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। খোলা পাম অয়েল ১২৮ থেকে ১৩৫, গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা এবং পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ থেকে ১৩৮ টাকা লিটার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button