পূর্ব শত্রুতার জেরে ঝিকরগাছায় পানি বন্দী একটি পরিবার, উচ্চমহলে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও প্রতিকার নেই।
এসএম স্বপন, বেনাপোল প্রতিনিধি-(যশোর)
পূর্ব শত্রুতার জেরে ঝিকরগাছায় পানি বন্দী একটি পরিবার,উচ্চমহলে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও প্রতিকার নেই।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঝিকরগাছা পল্লীতে একটি পরিবারকে পানি বন্দী করে রেখেছে মাওলানা জব্বারের শ্বশুর ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুমরী গ্রামে। ফলে ঘর থেকে বের না হতে পেরে ছেলে মেয়ে নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে মানবতার জীবন যাবন করছে পরিবারটি।
জানা গেছে, ঝিকরগাছা শংকরপুর ইউনিয়নের কুমরী পূর্ব পাড়ায় ইয়াছিন নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন যাবত পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি টানা কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ায় ইসাছিনের উঠানে এখন হাঁটু সমান পানি জমেছে।ঘরের ভিতর ছুঁই ছুঁই। এর ফলে রান্না খাওয়া থেকে শুরু করে ঘর থেকে বের হওয়ারও উপায় নেই পরিবারটির।
বর্তমানে ঘরবন্দী হয়ে আসেন তারা। আর তাদের পানি বের হওয়ার জন্য বাড়ির পাশের অন্য জমির মালিক মাওলানা জব্বারের শশুর তার মালিকানা জমির উপর দিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে পানি সরতে না দেওয়ায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
পানিবন্দী ইয়াছিনের স্ত্রী শরিফা জানান, বর্ষা মৌসুম আসলেই আমাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। পাশের জমির মালিকের উপর দিয়ে পানি যেতে আটকে দেওয়ার ফলে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানি জমে টয়লেট, টিউবওয়েল পানির নিচে তলিয়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে। এতে নানা পানিবাহিত রোগের আশঙ্কা করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বারের কোন সহযোগীতা পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তার কাছে বার বার ধন্যা দেওয়ার পর তিনি দু’শ টাকা দেওয়ার কথা বলে নিজ উদ্যোগে পানি নিস্কাশন করার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে ১০ নং শংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নিছার উদ্দিন জানান, পানিবন্দী পরিবারের কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি মাওলানা জব্বারের শ্বশুর ইসলামের জমির উপর দিয়ে পানি না যাওয়ার ফলে জলাবদ্ধতা। যার কারনে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অসহায় ইয়াছিনের পরিবার। এসময় পাশের জমির মালিক ইসলামের ছেলে রুহুলামিনের সাথে কথা বললে তিনি জমির নিচ দিয়ে পাইপ লাগিয়ে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করতে বলেন। সেই মোতাবেক কাজ করার প্রস্তুতি নেওয়ার একদিন পরে রুহলামিন ও মাওলানা জব্বার যুক্তি এটে তাদের জমির উপর দিয়ে পানি যেতে দেবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
এদিকে, এই পরিবারের চরম দুর্ভোগের বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার ও গ্রাম্য মাতব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন সুরাহ না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে পরিবারটি।