আমার দোষ, শেষ বলটা কাজে লাগাতে পারিনি: মাহমুদউল্লাহ
রান তাড়ায় শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৩ রান। আন্দ্রে রাসেলের ৬ বল থেকে এই রান তোলার গুরুদায়িত্ব পড়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ওপর। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান প্রথম ৫ বল থেকে তোলেন ৯ রান, শেষ বলে প্রয়োজন ৪ রান। শেষ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডারের ইয়র্কারে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ।
চার রান নিয়ে দলকে না জেতাতে পারায় দায় নিজের ওপরই নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মাহমুদউল্লাহ জানান, দোষ তারই, শেষ বলটা তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। একেবারে কাছে গিয়েও ৩ রানে হেরে যাওয়ায় ব্যাপারটি হয়তো অধিনায়ক হিসেবে তাকেই বেশি পোড়াচ্ছে। তাই নিজের কাঁধেই দোষ চাপালেন মাহমুদউল্লাহ।
কী ভাবছিলেন ওই ডেলিভারিটার আগে? এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ব্রাভোর বলে যদি লিটনের ছয়টা হয়ে যেত, তাহলে অনেকটা এগিয়ে যেতাম। আমার মনে হয় ওটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল ম্যাচের। লিটন সেট ছিল, দুইজন সেট ব্যাটসম্যান যদি শেষ ওভারে থাকতে পারতাম তাহলে অন্তত দুজনের একজন একটা বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি কিংবা পজিটিভ কোনও কিছু আসত।’
শেষ বলটা কেমন হবে, বুঝতে পেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তার ভাষায়, ‘আমি জানতাম যে শেষ বলটা ও ব্লক হোলে করবে। কারণ লেগ সাইডে চারটা ফিল্ডার ছিল। আগের দুটি বলও ভালো ইয়র্কার করেছিল, মানে আমি তুলতে পারিনি।’
‘চিন্তা করছিলাম যে ও যদি মিস করে তাহলে একটু জায়গা করে হয়তো মিড-অফের ওপর দিয়ে মারতে পারি বা যদি মিস করে তাহলে কভার, পয়েন্ট বা ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়েও মারতে পারি। এটা আমার দোষ, আমি শেষ বলটা কাজে লাগাতে পারিনি।’ যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ।
শুক্রবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার লিগে শারজাহতে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নিকোলাস পুরানের ক্যামিও ইনিংস ও ওপেনার রস্টন চেসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ১৪২ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ দলকে জয়ের পথে রাখলেও শেষ করতে পারেননি। ৫ উইকেটে ১৩৯ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।