জাতীয়

অভিজাত এলাকায় গাড়ি চললে দিতে হবে এক্সট্রা চার্জ : মেয়র আতিকুল ইসলাম

বিদেশে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে, রাস্তায় বের হলে গাড়ি আর গাড়ি। পরিবারের প্রতিটি সদস্যরই আলাদা আলাদা গাড়ি রয়েছে। তাই আমরাও পরিকল্পনা করেছি (বিদেশের অনুকরণে) রাজধানীর অভিজাত এলাকা দিয়ে গাড়ি চলার সময় এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে।

আজ শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়ি মুক্ত দিবস’ উপলক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে এক পদযাত্রা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আজ আমাদের ফুটপাতগুলো দখল হয়ে আছে। তাই ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে মানুষ, ফলেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু মানুষ যদি ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দে হাঁটতে পারতো, তা হলে যানজট কিছুটা হলেও কমে যেতো। শুটিং ক্লাব থেকে গুলশান-১, গুলশান-১ থেকে গুলশান-২, বনানী থেকে গুলশান-২ এর রাস্তায় ঢুকলে শুধু গাড়ি আর গাড়ি। পরিবারের সবার জন্য আলাদা আলাদা একটি করে গাড়ি আছে অনেকের। আমাদের গাড়ির সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এসব গাড়ির জন্য দিন দিন যানজটের মাত্রা বাড়ছে।

তিনি বলেন, বিদেশে আমরা দেখেছি, তাদেরও কিন্তু বিভিন্ন রাস্তায় ঢুকলে এক্সট্রা চার্জ দিতে হয়। তাই আমরাও প্ল্যান করেছি গুলশান, বারিধারাসহ অভিজাত এলাকগুলোতে গাড়ি ঢুকলে এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে। আমরা এসব অভিজাত এলাকাতে মেশিন বসিয়ে প্রথমে গাড়ি গণনা করবো। দেখব কতগুলো গাড়ি প্রবেশ করে, এর পর একটি সমীক্ষা করে নিয়ে বিষয়টি আমরা কার্যকর করবো। তখন অভিজাত এলাকায় গাড়ি চলার সময় এক্সটা চার্জ ধরা হবে।

সড়কে এখনো অনেক রুট পারমিটবিহীন গাড়ি চলাচল করছে, এর মধ্যে অনেকগুলোর ফিটনেসও নেই উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এসব বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া যেসব এলাকা ভিত্তিক সমস্যা আছে সেগুলো এলাকাভিত্তিক স্থানীয়রা দায়িত্ব নেন। আমাকে জানান কী কী সমস্যা আছে, কী করতে হবে। আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে সেসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব। আমি যা বলি তা করার চেষ্টা করি।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমাদের ফুটপাত দখল হয়ে আছে, খালগুলোতেও একই অবস্থা আমাদের এসব দখল মুক্ত করতে হবে। সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের খেলার মাঠগুলো উন্মুক্ত করে দিতে হবে। সবাই মিলে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে একটি সুন্দর, সচল, আধুনিক, সুস্থ ঢাকা আমাদের গড়তে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রফিকুর রহমানসহ ডিএনসিসির স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button