জাতীয়

আন্দোলনে শিরোপা অর্জনে খালেদা জিয়ার সুনাম আছে:গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, আমরা আন্দোলন করছি, আমাদের আন্দোলন করার অভিজ্ঞতা আছে। আন্দোলনে শিরোপা অর্জনেরও খালেদা জিয়ার সুনাম আছে। আর আন্দোলন কখনও বৃথা যায় না।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি একথা বলেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।

গয়েশ্বর রায় বলেন, এই ধড়পাকড় হলো একটি বার্তা। সরকার যখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন বিরোধী দলকে দুর্বল করার জন্য মানসিকভাবে, নেতাকর্মীদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল করার জন্য তারা মাঝে মধ্যে এ রকম হাওয়া দেবে। তবে আমরা এখন বলব একটিই কথা। সব লোক জেলে যাক, তার পরও সরকারের পতন ঠেকিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই।

বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, কোনো আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী, কোনো আন্দোলন হয় স্বল্পক্ষণের জন্য। বিএনপি যে আন্দোলন করতে পারে ২০১৩ সালে আন্দোলন দেখেছেন, বিএনপি আন্দোলনে করতে পারে ২০১৫ সালে দেখেছেন। সামনে এমন আন্দোলন দেখবেন আর সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলার সুযোগ থাকবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, একমাত্র খালেদা জিয়া যিনি আদালত থেকে জামিন পান না। মার্ডার কেইসের আসামি, যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি, ফাঁসির আসামিও এই আদালত থেকে জামিন পাচ্ছে, অহরহ পাচ্ছে, প্রতিদিন পাচ্ছে। সুতরাং আদালতের কাছে এমন কোনো আইন নেই যে আইনের বলে খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া যায় না। এটা আমি একদম চ্যালেঞ্জ করে বলছি। এটা একান্ত আদালতের ইচ্ছার ব্যাপার। সবার ব্যাপারে জামিন হয়, খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে আদালতকে কেন থামিয়ে রেখে যেটি আপনাকে বুঝতে হবে, আমাকেও বুঝতে হবে। অর্থাৎ প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ওপর যে খড়গ নেমেছিল তার পর সব বিচারপতিরই একটা আশঙ্কা-আতঙ্কের মধ্যে তাদের বিবেক বন্ধক, তারা আইনের বই ঘেঁটে সুষ্ঠু বিচার করার ক্ষেত্রে তাদের প্রতিবন্ধকতা আছে।

তিনি বলেন, জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নেত্রী। সুতরাং তার মুক্তি আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই হবে। এর বিকল্প আমাদের কাছে কোনো পথ খোলা নেই। হ্যাঁ আমরা চেষ্টা করছি। তবে আমার মনে হচ্ছে সেই চেষ্টা যথেষ্ট নয়। এখন একটাই চেষ্টা করা দরকার, এই সরকারের পতন। তাদের পতন হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে, গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, অন্যায়-অবিচার থেকে মানুষ মুক্তি পাবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button