আফিম চাষ বন্ধের উদ্যোগ তালেবানের
আফগানিস্তানে আফিম চাষ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে তালেবান। কাবুল দখলের তিন দিনের মাথায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেন তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ।
তিনি জানান, তার দলের সরকার মাদক ব্যবসার অনুমতি দেবে না। সে অনুযায়ী, এরই মধ্যে তালেবান নেতারা কৃষকদের আফিম চাষ থেকে বেরিয়ে এসে জাফরানের মতো বিকল্প শস্য চাষের পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন।
যেসব এলাকায় অধিক পরিমাণে আফিম চাষ হয় সেসব এলাকার চাষীরা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে তালেবানের এই উদ্যোগে আফগানিস্তানজুড়ে কাঁচা আফিমের দাম বেড়ে গেছে। কান্দাহার, উরুজগান ও হেলমান্দ প্রদেশের চাষীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে কাঁচা আফিমের দাম তিনগুণ হয়ে গেছে। তালেবান যোদ্ধারা পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে প্রতি কেজি কাঁচা আফিম বিক্রি হতো ৭০ ডলারে। অথচ ক্ষেত্রবিশেষে এখন সেটি ২০০ ডলারেও বিক্রি হচ্ছে।
ইউএন অফিস অব ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত বছ আফগানিস্তানজুড়ে দুই লাখ ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে আফিম চাষ করা হয়েছিল। কাঁচা আফিমকে প্রক্রিয়াজাত করে হেরোইন তৈরি করা হয়।
তালেবানের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীদের বৈঠকে অংশ নেওয়া কান্দাহারের একজন আফিম চাষি জানান, তালেবানের সিদ্ধান্তে কৃষকরা অসন্তুষ্ট। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে সেটি মেনে চলার বিকল্প থাকবে না। লোকজন তাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে পারে না। কারণ তারা সরকার পরিচালনা করছে।
এই কৃষক বলেন, তালেবান মানুষকে জাফরানের মতো অন্যান্য ফসল চাষের পরামর্শ দিচ্ছে। তারা বলছে, পপি চাষ যখন নিষিদ্ধ করা হবে, তখন বিকল্প ফসল চাষের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।
খবর পার্স টুডে