সিনহা হত্যা মামলা : আজ সাক্ষ্য দিচ্ছেন সিফাত
আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার ২ নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
আদালতের ধার্যমতে আজ সাক্ষ্যগ্রহণের শেষদিন। কিন্তু মামলার ২ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়নি এখনো। অন্যান্য সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণে আরও দিন বাড়ানোর প্রয়োজন হলে কবে নাগাদ দিন ধার্য করা হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
ধার্য করা সাক্ষ্যগ্রহণের তৃতীয় দিন বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা হয়তো তাকে একে একে জেরা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ‘এই মামলার প্রথম সাক্ষী ও মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামিপক্ষের জেরা শেষে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিফাতের সাক্ষ্য গ্রহণ করা শুরু হয়েছিল। তবে তার জবানবন্দির পর মঙ্গলবার আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করতে পারেননি।’
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের ৯ সদস্য। তারা হলেন— বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেবনাথ।
অপর আসামিরা হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।