বগুড়ায় বান্ধবীকে আইফোন কিনে দেওয়ার জন্য পিতার সাথে অপহরন নাটকঃ অবশেষে বন্ধু সহ উদ্ধার
বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ায় বান্ধবীকে আইফোন কিনে দেওয়ার জন্য পিতার সাথে অপহরন নাটকঃ অবশেষে বন্ধু সহ উদ্ধার
বগুড়া জেলার সোনাতলা থানাধীন নামাজখালী গ্রাম হইতে গত ২৪ জুলাই ২০২১ ইং সন্ধ্যা ০৭.৩০ ঘটিকার সময় মোঃ রাকিবুল হাসান রিয়াদ (১৯) নামে এক যুবক বাড়ী থেকে বাহির হয়ে যায়। কিছুক্ষন পর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে রিয়াদ বাড়ীতে ফিরে না আসায় তার অভিভাবক আশেপাশেসহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়ী এবং সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে।
রিয়াদের কোন সন্ধান না পাওয়ায় তার মাতা বগুড়া জেলার সোনাতালা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন (সোনাতলা থানার জিডি নং-৯৫৯ তারিখ ২৫ জুলাই ২০২১)। পরবর্তীতে ২৬ জুলাই সকালে ভিকটিম রিয়াদের মোবাইল হতে তার পিতা বগুড়া বিদ্যুত বিভাগে কর্মরত মোঃ ওবাইদুলের মোবাইলে ফোন আসে,“তোর ছেলে রিয়াদকে জীবিত উদ্ধার করতে হলে জরুরীভাবে এক লক্ষ টাকা রেডী করে জানা”, এরপর যখন পরিবার বুঝতে পারে রিয়াদ অপহৃত হয়েছে তারা দ্রুত বগুড়া র্যাব ক্যাম্পে এসে রিয়াদকে উদ্ধারের জন্য সহযোগীতা চায়।
ইতিমধ্যে রিয়াদকে প্রচন্ড মারপিট করা করা হচ্ছে বলে তার পিতা র্যাবকে জানায়। অপহৃত রিয়াদের কান্নাকাটিতে তার বাবা-মা ভেঙ্গে পড়ে এবং মুক্তিপনের টাকা দেওয়ার জন্য রাজি হয়। এমতাবস্থায় র্যাবের চৌকষ টীম রিয়াদকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
র্যাবের আভিযানিক টীম বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান করে অবশেষে বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া এলাকা হতে মোঃ রাকিবুল হাসান রিয়াদ (১৯), পিতা-মোঃ ওবায়দুল সরকার, সাং-নামাজখালী, থানা-সোনাতলা, জেলা-বগুড়া ও তার বন্ধু মোঃ মুন্না হাসান (১৮), পিতা-মইফুল আকন্দ, সাং-মোলামগাড়ী হাট, থানা- কালাই, জেলা-জয়পুরহাটকে উদ্ধার করে র্যাব-১২, বগুড়া এবং অপহরণ নাটকের অবসান হয়।
উদ্ধারকৃত রিয়াদ ও মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রিয়াদ তার পিতার নিকট হতে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপন নেওয়ার উদ্দেশ্যে এই অপহরণ ও মারপিটের নাটক সাজিয়েছিল। দাবীকৃত মুক্তিপনের টাকা দিয়ে রিয়াদ তার এক বান্ধবীকে একটি আইফোন উপহার দিবে বলে জানায়। তাই পরিকল্পনা মাফিক দুই বন্ধু এই নাটক সাজায় এবং মোবাইল বন্ধ করে মোটরসাইকেল নিয়ে বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের খুঁজে না পায়।অবশেষে রিয়াদ ও তার বন্ধু মুন্নাকে উদ্ধারপূর্বক তাদের অভিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এধরনের কর্মকান্ডে নিজেদের জড়াবে না বলে মুচলেকা প্রদান করে।