ঈদে সতর্ক অবস্থানে আছেন পুলিশ
আজ ঈদুল আজহা। ঢাকা এখন ফাঁকা। এ সময় চোর, ডাকাত কিংবা অপরাধ রোধে পুরো ঢাকা নজরদারিতে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মোহা. শফিকুল বলেন, হাট, ঈদের জামাত এবং ঈদ পরবর্তী সময়ে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঈদে তিলোত্তমা এ নগরীর থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ গ্রামে গেছেন। প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিতে শুধু লোকজনই নয়, যানবাহন চলাচলও অনেকাংশে কম। অনেক জায়গায় ফাঁকা সড়ক খা খা করছে। ঈদ আনন্দের মধ্যে যেন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রধান সড়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ ও র্যাবের অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।
মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা বলেন, বাসা-বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে এলাকাভিত্তিক একজন এসআই যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া টহল জোরদার করা হয়েছে। রাজধানীর ৫১টি থানা এলাকার পাড়া-মহল্লা এমনকি অলিগলিতে নেওয়া হয়েছে। তবে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের চুরি-ডাকাতি বেড়ে না যায় সেজন্য বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে র্যাবের নিয়মিত বাড়তি টহল। এছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এনএসআইয়ের গোয়েন্দা দল মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
অন্যদিকে, রাজধানীবাসীর প্রতি নির্দেশনা দিয়ে পুলিশ বলছে, বাসার, দরজা জানালায় শুধু তালা নয়, থাই এলুমিনিয়ামের গেট কিংবা জানালায় ঠিক মতো লক হয়েছে কিনা, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার থাকলে তাও নিরাপদে সরিয়ে রাখতে হবে। যেসব বাড়িতে সিসি ক্যামেরা আছে সেগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে বাড়িওয়ালাদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া মো. সোহেল রানা বলেন, বাড়তি সতর্কতা কিংবা নিরাপত্তা অংশ হিসেবে জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম পর্যায়ে একই ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।