খেলাধুলা

সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ২৪১ রান

দারুণ বোলিংয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে নাগালেই রেখেছেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। এদিন এই পেসার মাত্র ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন। এর ফলে জিম্বাবুয়ের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানে।

এই ম্যাচে টসে হেরে আগে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই বল হাতে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারের শেষ বলে জিম্বাবুয়ের ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামেকে পয়েন্টে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ক্যাচ বানিয়ে বানিয়েছেন তিনি।

এরপর ১৩ রান করা তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে বোল্ড করে আউট করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই উইকেট পতনের পর জিম্বাবুয়ের ইনিংসের হাল ধরেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেলর ও রেজিস চাকাভা। এই দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৪৭ রান। চাকাভাকে ব্যক্তিগত ২৬ রানে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান।

একপ্রান্ত আগলে রেখে জিম্বাবুয়ের ইনিংস টানছিলেন অধিনায়ক টেলর। তবে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে তিনি হিট আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। শরিফুলের করা বল শট খেলতে গিয়ে মিস করেছিলেন টেলর। এরপর শটের শ্যাডো করতে গিয়ে তার ব্যাট স্টাম্পে লেগে বেইলস পড়ে যায়। টিভি আম্পায়ার রিপ্লে দেখে টেলরকে আউট ঘোষণা দেন।

এর খানিক বাদেই দুর্ভাগ্যজনক চোট পেয়ে ওভার অসমাপ্ত রেখেই মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল মিরাজকে। এই অফ স্পিনার বল করেছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরেকে। তিনি ব্যাট ঠেকিয়ে দিলে তা নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ডিওন মেয়ার্সের ব্যাটের কাছে যায়। মিরাজ ফিল্ডিং করতে গেলে তার ডান হাতের একটি আঙুল পড়ে যায় ব্যাট ও বলের মাঝে। তাতেই মাঠে রক্তাক্ত হয় মিরাজের আঙুল।

এরপর সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়েন মিরাজ। তার অসমাপ্ত ওভার শেষ করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অবশ্য ফিজিওর সেবা শুশ্রূষা নিয়ে আবারও মাঠে ফেরেন তিনি। এর আগে সীমানায় ফিল্ডিং করতে গিয়ে পেসার তাসকিন আহমেদের ডান হাত কেটে যায়। মাঠেই সেই হাত থেকে রক্ত ঝড়তে দেখা যায়।

ডিওন মায়ার্সকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিয়েছেন সাকিব। লং অন দিয়ে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন মেয়ার্স। তবে ঠিক মতো ব্যাটে বলে না হলে তা টপ এজ হয়ে ধরা পড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। এর ফলে মাধেভেরের সঙ্গে তার ৩৫ রানের জুটি ভাঙে।

এরপর মাধেভেরে জুটি বাধেন সিকান্দার রাজার সঙ্গে। এই জুটি ভাঙেন শরফুল। এই টাইগার পেসারকে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া মাধেভেরে। লং অন থেকে দৌড়ে এসে সেই বল মুঠোয় জমান তামিম ইকবাল। আর তাতেই শেষ হয় মাধেভেরের ৫৬ রানের ইনিংস।

এর মধ্যে দিয়ে রাজার সঙ্গে তার ৬৩ রানের জুটিও ভাঙে। এরপর লুক জাঙ্গোকেও (৮) নিজের শিকার বানিয়েছেন শরিফুল। ডিপে তার ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক। আর মুজারাবানি শরিফুলের শর্ট বলে পরাস্ত হয়ে শূন্য রানে উইকেটের পেছনে টপ এজ হয়ে আউট হয়েছেন।

দারুণ খেলতে থাকা সিকান্দার রাজা ব্যক্তিগত ৩০ রানে সাইফউদ্দিনের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

জিম্বাবুয়ে- ২৪০/৯ (৫০ ওভার) (মাধেভেরে ৫৬, টেলর ৪৬, চাকাভা ১৬, মারুমানি ১৩, মেয়ার্স ৩৪, রাজা ৩০; শরিফুল ৪/৫৪ সাকিব ২/৪২)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button